বল টেম্পারিং দায়ে এবার পদত্যাগ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যানের
কেপটাউনের নিউল্যান্ডে বল টেম্পারিং কান্ডের পর এবার সবচেয়ে বড় ধাক্কা পেয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অসি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার বল টেম্পারিং কাণ্ডের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পরই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা আর্ল এডিংস ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
স্টেট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ভোটে কোনো বিরোধিতা ছাড়াই দ্বিতীয় বারের মতো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্বে আসেন পিভার। তবে কিছুদিন আগেই ছয়টি স্টেটের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়া স্টেট চেয়ারম্যানের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে। তবে এই ব্যাপারে পিভার জানিয়েছিলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছে, তার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি এবং এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বল টেম্পারিংয়ের ঘটনাকে ‘হেঁচকি’ বলে সম্বোধন করেছেন। তবে তিনটি বোর্ডের অনাস্থায় এবং পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠায় শেষ পর্যন্ত বোর্ডের এক বিশেষ সভায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
পিভারের পদত্যাগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের পরিবর্তন চোখে ধরা পড়েছে। নিষিদ্ধ স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে দলের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন টিম পেইন (টেস্ট) এবং অ্যারন ফিঞ্চ (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি)। ড্যারেন লেহম্যানকে সরিয়ে প্রধান কোচের দায়িত্বে এসেছেন সাবেক ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ১৭ বছর পর বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জেমস সুদারল্যান্ডকে সরিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন কেভিন রবার্টস।
২০১২ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোর্ডে আসা পিভার ২০১৫ সালে ওয়ালি এডওয়ার্ডসের পর চেয়ারম্যান হন। তবে গত বছরই খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়ায় ক্রিকেট বোর্ডের বাজে সময় কেটেছে তাঁর আমলে। এডিংস বলেছেন, ‘ডেভিডকে তার সেবার জন্য ধন্যবাদ। সে প্রমীলা ক্রিকেট দলের উন্নতির জন্য অনেক কিছু করেছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত বাদে আইসিসির অন্যান্য পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ফান্ডিং বৃদ্ধি, ভবিষ্যতের সফরগুলোর ব্যবস্থা করা এবং অনেক প্রাপ্তির জন্য ধন্যবাদ। ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা আবারও ক্রিকেটবিশ্বে নিজেদের আস্থা ফেরাতে চাই। আমি ও নির্বাহী বোর্ড ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।’