চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার একটি দিন

দিনের শুরুটা ভালোই কেটেছিল বাংলাদেশের। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংস ২৮২ রানে বেঁধে ফেলেছিল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেও ভালো কিছু করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বিপর্যয় দিয়ে যে শুরুটা হয়েছিল, সে ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৪৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।
ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে জিম্ববুয়ে ১৩৯ রানের লিড নেয়। বলা যায় জিম্বাবুয়ের প্রায় আর্ধেক রান করেছে স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দলীয় আট রানের মাথায় প্রথমে ইমরুল কায়েস (৫) সাজঘরে ফিরেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আরেক ওপেনার লিটন দাসও (৯) আউট হয়ে যান। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, পাঁচ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হন। শূন্যরানে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।
তবে অন্যদের ব্যর্থতার দিনে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। ৪১ রানের হার না মানা চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি। কিছুটা চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম (৩১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২১)। কিন্তু তারা খুব একটা এগিয়ে নিতে পারেননি। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বল্প রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় তারা।
এর আগে জিম্বাবুয়ে আগের দিনের ২৩৬ রানের সঙ্গে যোগ করেছে করেছে মাত্র ৪৬ রান, যাতে তাইজুল একাই নিয়েছেন চার উইকেট। আগের দিনও প্রথম দুটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মোট ছয় উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। পরে অবশ্য শন উইলিয়ামসের ব্যাট হাতের দৃঢ়তায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু শতকের কাছাকাছি গিয়ে মাহমুদউল্লাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। চার উইকেট হারিয়ে দল যখন কিছুটা চাপে, তখন প্রতিরোধ গড়েছিলেন উইলিয়ামস। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ১৭৩ বলে ৮৮ রান করেন।
এর আগে ব্রায়ান চারি ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। তাঁকে সরাসরি বোল্ড করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলরও। ব্যক্তিগত ছয় রানে আউট হন তিনি। তিনিও তাইজুলের শিকার। মাসাকাদজা সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৫২ রান। সিকান্দার রাজা করেন ১৯ রান।
আর রেজিস চাকাভা ২৮ ও মাসাকাদজা চার রান করে সাজঘরে ফিরেন। তবে পিটার মোর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের ইনিংসটাতে তিন শতকের কাছাকাছি নিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন। তিনি হার না মানা ৬৩ রান করেন।