আরেকটি শতক মিস্টার ডিপেনডেবলের
বছরের সেরা সময়টি পার করছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। বছরের শুরুতেই চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯২ রান করেছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংস কিংবা দ্বিতীয় টেস্ট কোনোটিতেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টেও ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ভালোভাবে থিতু হতে পারেননি। অবশ্য এবার দ্বিতীয় টেস্টে শুরু থেকেই চমক দেখিয়েছেন তিনি। দিনশেষে নিজের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন মুশফিক।
যখন মুশফিক ক্রিজে আসেন, তখন ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ক্রিজে থাকা মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে জুটি গড়তে থাকেন তিনি। তাঁদের চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে দলীয় রান যখন ২৫২, তখন শতক পেয়েছেন মুশফিক। তবে ততক্ষণে সেই জুটি মিরপুরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের তকমা পেয়ে গেছে। ঠিক ৪০ রান পরই সারাদিনের সঙ্গী ব্যাটসম্যান মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ১৬১ রানে। তবে নিজেকে ধরে রেখেছেন মুশফিক। দিনশেষে ১১১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল ইসলাম আউট হয়ে গেলেও ৯০তম ওভারে দিনের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৩০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের স্কোর।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বপ্রথম দ্বিশতক করেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ২০০ রান করেন তিনি। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দলের দুর্দিনে রান করেছেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেছেন তিনি, তাতে ভরসা পেয়েছেন নির্বাচকরা। এমন ফর্মে থিতু হতে পারেন কি না মুশফিক, সেটিই এখন দেখার বিষয়।