তারপরও সংগ্রহটা ভালোই বাংলাদেশের
দলীয় ২৫৯ রানে ৮ উইকেট নেই। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, আর হয়তো বেশিদূর যাবে না বাংলাদেশের ইনিংস। সবার সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করলেন নবম উইকেট জুটিতে নামা তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। চমৎকার একটি জুটি গড়ে দলের সংগ্রহটাকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান তাঁরা।
তাইজুল ও নাঈমের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গড়েছে ৩২৪ রান। নবম উইকেটে এ দুজনের ৬৫ রানের জুটি দলের সংগ্রহটাকে বড় করতে অন্যতম ভূমিকা রাখে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম দিন শেষে এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গড়েছিল ৩১৫ রান। দ্বিতীয় দিনে ৯ রান যোগ করতেই বাকি দুই উইকেট হারিয়ে বসে।
তবে মুমিনুল হকের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে আগের দিন বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে ছিল। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার (০)। বেশ কিছুদিন পর ফিরে দলের শুরুটা ভালো এনে দিতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ওপেনার ইমরুল ফেরেন ৪৪ রান করে। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও (২০)।
পরে মুমিনুল ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়েছিলেন। খেলেন ১২০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। এই সেঞ্চুরি করে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন তামিম ইকবালকে। দুজনের এখন আটটি করে টেস্ট শতক।
তবে একটি জায়গায় এগিয়ে মুমিনুল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ছয়টি সেঞ্চুরি করেন তিনি। যেখানে তামিম একটি।
তবে মুমিনুল সাজঘরে ফেরার পরই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। এর পর পরই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (৪) দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় দল। তাঁর পথ ধরে দ্রুত ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও (৩)।
তখনো ভরসা ছিল সাকিব পিচে আছেন। কিন্তু তিনিও ৬৮ বলে ৩৪ রানের একটি ইনিংস খেলে আউট হলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল।
তবে নবম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত নাঈম হাসান দারুণ দুটি ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ইনিংসেও ভালো কিছু করা সম্ভব। তাইজুল ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও নাঈম ২৬ রান করে আউট হন।