দ্রুততম জয়ে লজ্জা কাটিয়েছে বাংলাদেশ

গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে এক ইনিংস হাতে রেখেই ২১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সেটিই যেকোনো দলের বিপক্ষে দ্রুততম জয় ছিল তাদের। মাত্র ৩৫৪ বলে বাংলাদেশের ২০ উইকেট নিয়েছিল ইন্ডিজরা। এবার ঘরের মাঠে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ রান ব্যবধানে জয় পেলেও মাত্র ৫৯৬ বলে ইন্ডিজদের ২০ উইকেট নিয়েছে টাইগাররা। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের দ্রুততম জয়।
ম্যাচে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩২৪ রান করেছিল। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান করে মাত্র ৬৪ ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয় হয়েছিল দুর্বল ব্যাটিংয়ের কারণে। ৩৬ ওভার ব্যাট করে মাত্র ১২৫ রান করেছিল সাকিব আল হাসানের দল। তবে আগের লিড রান ৭৮ এর সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সুগম লক্ষ্য হিসেবে সামনে ছিল ২০৪ রান।
তবে ২০৪ রানের ছোট লক্ষ্যকেই পাহাড়সম করে তুলেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তাইজুল ইসলামের ছয় উইকেট, সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুটি করে উইকেটের সুবাদে মাত্র ৩৫.২ ওভারেই ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজদের ইনিংস। ফলে বলের হিসেবে মাত্র ৫৯৬ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ, যা তাঁদের টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম জয়।
অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের প্রথম নয়। মোট ছয়বার টেস্টে ১০০০ এর কম বল করে প্রতিপক্ষকে দুই বার অল আউট করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আজকের জয়সহ ওয়েস্ট ইন্ডিজই তালিকায় আছে তিনবার। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকেও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে দ্রুততম জয়ের রেকর্ডটি এত দিন ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৬৭০ বলে অল আউট করেছিল বাংলাদেশ। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এই রেকর্ড নতুনভাবে গড়েছে তাইজুলরা।