তৃতীয় শতকে নিজেকে ছাড়ালেন মাহমুদউল্লাহ
চোট থেকে সেরে না ওঠায় কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। সিলেট টেস্টে হেরে সমালোচনার শিকার হওয়া মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের দেখা পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে। আজ শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও নিজেকে মেলে ধরেছেন মাহমুদউল্লাহ। দলের প্রয়োজনে করেছেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৩৬ রান, যা বাংলাদেশকে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
মিস্টার ডিপেনডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯০ রান, নেই পাঁচ উইকেট। তখনই ক্রিজে থাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। আজ দ্বিতীয় দিনে যখন সাকিব ৮০ রানে আউট হন, ততক্ষণে দলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩০১ রান। ১১১ রানের সেই দুর্দান্ত পার্টনারশিপে মাহমুদউল্লাহর অবদান ছিল মূল্যবান ৪৭ রান। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময়ে লিটন দাসের সঙ্গে ৯২ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন তিনি। দুই বড় জুটিতেই বড় অবদান রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। পরে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের সঙ্গেও জুটি গড়ে দলকে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩৬ রানের ইনিংসটি খেলার পথে ১০টি চার মেরেছেন তিনি, খেলেছেন ২৪২ বল। একজন সহজাত টেস্ট ব্যাটসম্যানের মতো এই ইনিংস বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছে অনেক দূরে।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম শতক এবং দ্বিতীয় শতকের অধিকারী মাহমুদউল্লাহ। টেস্টেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠছেন এই অলরাউন্ডার। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও শতক পেয়েছেন তিনি, করেছেন নিজের ক্যারিয়ারসেরা ১৩৬ রান। এমন পারফরমেন্স ভক্তরা তো বটেই, ছাড়িয়ে যাওয়ার তালিকায় নিজেকে দেখতে চাইবেন মাহমুদউল্লাহও।