টেস্টে বাংলাদেশের যত হোয়াইটওয়াশ

Looks like you've blocked notifications!

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেতে চার বছর সময় লেগেছিল বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্টেই প্রথম সিরিজ জয়ের আনন্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের ঠিক আরো পাঁচ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হারিয়েই প্রথম হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ রোববার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবীয়দের ইনিংস এবং ১৮৪ রান ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশের করল টাইগাররা।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে এসেছিল সফরকারী জিম্বাবুয়ে। সিলেটে তাঁদের কাছে প্রথম টেস্টে হেরে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের ভুল শুধরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তারা। একই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টেও অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাইজুল-মিরাজ-সাকিবদের বোলিং তোপে লক্ষ্যের ৬৪ রান দূরে থাকতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্ট দলে চমক দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রতিষ্ঠিত কোনো পেসার দলে না রেখেই দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। এমনকি একমাত্র বোলার হিসেবে দলে সুযোগ হয়েছিল তাইজুল ইসলামের, তিনিও একজন স্পিনার। তবে সেই সিদ্ধান্তের চমক প্রথম ইনিংস থেকেই দেখতে পেয়েছে ভক্তরা।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫০৮ রানের বিপরীতে ক্যারিবীয়রা ১১১ রান করতে সমর্থ হয়। মিরাজ সাত উইকেট এবং সাকিব তিন উইকেট নিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন ৩৯৭ রান দূরে থাকতেই। প্রথমবারের মতো ফলোঅনে কোনো দলকে ফেলে বাংলাদেশ। জবাবে আবারও ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস সাকিব-মিরাজদের ঘূর্ণিতে থিতু হতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন শাই হোপ এবং শিমরন হেটমায়ার। তবে লাভ হয়নি। দেবেন্দ্র বিশুর সঙ্গে হেটয়ারের ৪৭ রানের জুটি কিংবা শেষ জুটিতে কেমার রোচ এবং লুইসের মধ্যকার ৪২ রানের জুটি শুধু এগিয়ে নিয়েছে দলের স্কোর। এতে বড় হারের লজ্জা আটকাতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। মিরাজ আবারও নেন পাঁচ উইকেট। তাইজুল তিনটি, সাকিব এবং নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন। ফলে লক্ষ্য থেকে ১৮৪ রান দূরে থাকতেই ২০ উইকেট খরচ হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের। এক ইনিংস হাতে রেখেই দ্বিতীয় টেস্টে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। সেই লজ্জার উপযুক্ত প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ।

২০১৪ সালে, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ম্যাচ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য বোলারদের তোপে থিতু হতে না পেরেই বিদায় নিয়েছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ১৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ টেস্টে জুবায়ের আহমেদের স্পিন এবং দলীয় দুর্দান্ত কম্বিনেশনের ফলাফল হিসেবে ১৮৬ রানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা।

আজ ক্যারিবীয়দের আবারও হোয়াইটওয়াশের মাধ্যমে নিজেদের জাত চিনিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনাররা। ওপেনার সাদমান ইসলাম, মাহমুদউল্লাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিং, ওপেনার লিটনের আট নম্বরে নেমে সফল হওয়া যেন এই টেস্টও জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। এমন জয়ের ধারা অব্যহত থাক, এমনটিই চাইবে ভক্তরা।