মানহানির মামলায় মোটা অঙ্কের অর্থ জিতলেন গেইল!

Looks like you've blocked notifications!

ক্যারিবীয় তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধে বেশ কদিন আগে একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল অস্ট্রেলিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া গ্রুপের কয়েকটি সংবাদপত্র। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় নাকি ড্রেসিংরুমে তিনি একজন নারী ম্যাসাজ থেরাপিস্টের সামনে তোয়ালে খুলে ফেলেছিলেন! গত বছর জানুয়ারি মাসে এ ব্যাপারে ধারাবাহিক প্রতিবেদনও ছাপে তারা। সেই প্রতিবেদনকে পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে নিউসাউথ ওয়েলসের আদালতে মানহানির মামলা করেছিলেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। সেই মামলায় তিনি জিতেছেনও।

এবার ক্ষতিপূরণের অঙ্কটাও ঠিক হয়েছে।  আজ সোমবার সেই ক্ষতিপূরণ মামলায় গেইলকে তিন লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা দিতে বলা হয়েছে সেই ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াকে।   বিচারক লুসি ম্যাককালাম সব কিছু যাচাই বাছাই করে এই অঙ্ক নির্ধারণ করে দেন। ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া অবশ্য এই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে।

রায় ঘোষণায় বিচারক ম্যাককালাম বলেন, ‘এমন অভিযোগ একজন পেশাদার ব্যাটসম্যানকে ব্যথিত করেছে। এটা খুবই হতাশার।’

আদালতে যুক্তি-তর্কের পর এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া। তাই আদালত  জানিয়েছেন, গেইলের বিরুদ্ধে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। এর জন্য গেইল যে ক্ষতির মুখে পড়েন, তার জন্য পরে শুনানি হবে। অবশ্য ফেয়ারফ্যাক্স  মিডিয়া আপিল করবে বলে জানিয়েছে।

নির্দোষ প্রমাণিত  হওয়ার পর দারুণ খুশি গেইল বলেন, ‘আমি দোষী নই, আমি একজন ভালো মানুষ—সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এটি আমার জন্য সত্যিই খুশির খবর। আমি জ্যামাইকা থেকে এসেছি শুধু নিজের অবস্থান তুলে ধরতে।’

অবশ্য গেইলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এক নারী সাংবাদিককে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর জন্য ১০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করা হয়েছিল তাঁকে।