কীর্তির ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন মাশরাফি

Looks like you've blocked notifications!

২০০১ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। এরপর ক্রিকেট অঙ্গনে পথচলায় এসেছে ইনজুরির বাধা। সেই সময়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বল করা এই পেসার পরে কাঁধে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলেরও দায়িত্ব। সাতটি অস্ত্রোপচারের পরও হাঁটুতে ক্যাপ পরে মাঠে নেমে পথ দেখিয়েছেন দলকে। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের ২০০তম ওয়ানডে পূর্ণ করলেন মাশরাফি। তবে দেড় যুগ পরেও বোলিংয়ের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের বোলিং স্পেল স্মরণীয় করে রাখলেন টাইগারদের দলীয় অধিনায়ক।

মাশরাফির মোট ১০ ওভারে ক্যারিবীয়রা নিতে পেরেছে মাত্র ৩০ রান। অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজও তাঁর ১০ ওভারে একই পরিমাণ রান দিয়েছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৬ রান দিয়েছেন। আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান সম্পূর্ণ স্পেলে দিয়েছেন ৩৫ রান। তবে রানের সংখ্যা দিয়েই নয়, উইকেট নিয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছেন মাশরাফি।

গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ফ্ল্যাট উইকেটে পেসারদের আধিপত্যের কথা জানিয়েছিলেন মাশরাফি। আজ মিরপুরে নিজেকে সেই কথার উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। বল হাতে গড়ে ওভারপ্রতি মাত্র ৩ রান করে দিয়েছেন তো বটেই, নিয়েছেন তিনটি মূল্যবান উইকেটও। ২১তম ওভারে তিনি ক্যাচ আউট করেছেন ড্যারেন ব্রাভোকে। শাই হোপ ও ব্রাভোর জুটি বড় সংগ্রহের আশঙ্কা জাগিয়েছিল। সেই আশঙ্কা কাটানোর পরেই ২৫তম ওভারে হোপকে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক নিজেই। ৩৭তম ওভারে রোভম্যান পাওয়েলকে আউট করে ক্যারিবীয়দের কোণঠাসা করেন মাশরাফি। ৩ উইকেট পাওয়া আরেক পেসার মুস্তাফিজ অবশ্য তাঁর উইকেটগুলো পেয়েছেন স্পেলের শেষ দুই ওভারে। তাই রান এবং খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী উইকেটের বিবেচনায় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন মাশরাফিই।

২০০তম ওয়ানডেতে নেমেও তরুণ মিরাজ, মুস্তাফিজ, সাকিবের চেয়ে অনেক এগিয়ে মাশরাফি। আগামী ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তবে চিরচেনা মাশরাফি নিজেকে সেরা প্রমাণ করেই স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের ২০০তম ওয়ানডের বোলিং স্পেল।