‘তরুণদের রাজনীতিতে আসা উচিত’

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নড়াইল-২ আসনের জন্য মনোনীত প্রার্থী এই পেসার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়বেন তিনি। তবে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নড়াইল এক্সপ্রেস জানিয়েছেন নিজেকে নিয়ে ভাবনার কথা।

নির্বাচনে যাবার উদ্দেশ্য হিসেবে ক্রীড়াক্ষেত্রে এবং জনকল্যাণে আরো অবদান রাখার ইচ্ছে পোষণ করেছেন মাশরাফি। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ইমরান খান যেখানে পৌঁছেছেন, অনেকে চাইলেও তেমন স্থানে পৌঁছাতে পারে না। আমার ইচ্ছা খেলাধুলা নিয়েই কিছু করা। আমি একজন খেলোয়াড়, আমার ইচ্ছেও তাই এখানে সীমিত। এলাকার জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে।’

দক্ষিণের জেলা নড়াইলে মাশরাফির বিশেষ নাম নড়াইল এক্সপ্রেস নামে একটি বিশেষ দাতব্য সংস্থা চালান মাশরাফি। স্থানীয় হাসপাতালে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে এই সংগঠনটি। এ ছাড়া জনহিতকর অন্যান্য কাজের সঙ্গেও জড়িত তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে প্রবেশের ঘটনা বেশ পুরোনো। তবে পার্থক্য এখানেই, মাশরাফি এখনো ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করছেন এবং আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত করবেন। অবশ্য ২০০৯ সালের পর থেকে আর টেস্ট খেলেননি মাশরাফি, টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নিয়েছেন বেশ কিছুদিন আগেই।

হাঁটুতে সাতটি অস্ত্রোপচার নিয়েও দলের জন্য সর্বোচ্চ উজাড় করে খেলা মাশরাফি ক্রিকেটের প্রতি এমন নিবেদনের কারণে পেয়েছেন অনেক ভক্তের ভালোবাসা। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোয় অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তাঁর সমালোচনা হয়েছে অনেক। তবে এসব খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে এটুকু বলতে পারি, যারা অন্য রাজনৈতিক দল করেন বা মতাদর্শে  বিশ্বাস করেন, তাঁদের প্রতি আমার কোনো অসম্মান নেই। আমার দলকে শতভাগ সমর্থন দিলেও তাঁদের আমি শতভাগই সম্মান করি। আমি এটা বলছি, কারণ সবারই পছন্দের দলকে সমর্থন দেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি শুধু মন থেকে তাঁদের অবস্থানকে সম্মান জানাতে পারি, যেটা আমি করি।’

অবশ্য  রাজনৈতিক নেতাদের কেমন গুণাবলি থাকা প্রয়োজন এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই যোগ্য এবং ভালো মানুষ হতে হবে। যদিও আমি নিজেকে সেই কাতারে রাখছি না। তরুণরা আমাদের সামাজিক অবক্ষয় খুব কাছ থেকে দেখছে। আমি মনে করি, তাদেরও রাজনীতিতে আসা উচিত।’

বাংলাদেশের তরুণ সমাজের আইকন এবং ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি এএফপিকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক ভাবনা তুলে ধরেছেন বেশ খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমেই। তবে রাজনীতির মাঠে তিনি কতটা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, সেটি সময়ই বলে দেবে।