ম্যাথুস-মেন্ডিসের দৃঢ়তায় বেঁচে গেল শ্রীলঙ্কা
ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা ও সফলতা দুটিই দেখেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংস বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সফরের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর নিউজিল্যান্ডে এমনভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অনুপ্রেরণা জোগাবে লঙ্কানদের।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৮২ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাহাড়সম ৫৭৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই অবশ্য বিপদে পড়ে সফরকারীরা। ১৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন হারের আশঙ্কা জেগেছে। সে সময়ই ব্যাট হাতে অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। মেন্ডিসের ১৪১ ও ম্যাথুসের ১২০ রানের সুবাদে পঞ্চম দিনে খেলা গড়িয়েছে। এমনকি দুজনের ২৭৪ রানের জুটি কিউইদের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। ইনজুরির পর ফিটনেসহীনতার কারণ দেখিয়ে কিছুদিন আগেও ওয়ানডে দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি ম্যাথুসকে। ইংল্যান্ড টেস্টে রান পাওয়ার পর বছরের প্রথম শতক কিউইদের বিপক্ষে পেয়েছেন এই তারকা। এমনকি ব্যাট উঁচিয়ে জবাবও দিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। তবে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল।
লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল বলেন, ‘এমন ক্রিকেট খুব উপভোগ্য ছিল। তিনশর কাছাকাছি লিড পাওয়া প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করা সোজা নয়। গত চার-পাঁচটি টেস্টে ম্যাথুস দারুণ করেছে। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সে এবং দিমুথ বেশ ভালো জুটি গড়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে মেন্ডিসের সঙ্গে অসাধারণ জুটিও দেখেছি। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা পরবর্তী ম্যাচে কাজে লাগবে।’
অবশ্য ম্যাচসেরা হয়েছেন কিউই তরুণ টম ল্যাথাম। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অপরাজিত ২৬৪ করে গড়েছেন কম বয়সে কিউই খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিশতকের রেকর্ড। তবে এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ক্রিকেটবিশ্বকে আবারও ভালো ধারণা দিয়েছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।