আগ্রাসী মাহমুদউল্লাহকে দেখতে চান সাকিব

ব্যক্তিগত ১৫ রানে তামিম আউট হয়ে গেলেও শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬৮ রানের জুটি এগিয়ে দেয় টাইগারদের, অর্ধশতক পেয়েছেন লিটনও। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সৌম্য, লিটন ও মুশফিক আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ দুর্দান্ত ৯১ রানের জুটি গড়ে বিপদমুক্ত করে রান এনে দিয়েছেন দলকে, যা শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিয়েছে টাইগারদের। তাই সিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচে আগ্রাসী মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিবও।
প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা শেলডন কটরেল মাহমুদউল্লাহর প্রথম ওভারে বল করতে আসেন। কটরেলের প্রথম তিন বলে তিনটি চার মেরেই নিজের আগ্রাসী তবে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে অন্য প্রান্ত থেকে নির্ভার হয়ে খেলতে থাকেন সাকিবও। ২১ বলে ৪৩ করা মাহমুদউল্লাহ ও ২৬ বলে ৪২ করা সাকিবের ব্যাটে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে রেকর্ড ২১১ রান সংগ্রহ করে মাত্র ৪ উইকেটের বিনিময়ে।
মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারে ম্যাচসেরা সাকিব বলেন, ‘আমাদের জুটি তখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিয়াদ ভাইয়ের জন্য আমি চাপহীন ব্যাটিং করতে পেরেছি। আমি শুধু প্রান্ত বদল করেছি এবং সুযোগ পেলে বাউন্ডারি মেরেছি। রিয়াদ ভাই অনেক স্পেশাল একটা ইনিংস খেলেছেন।’
অনেক সময় মাঠে থিতু হতে বেশ সময় নেন মাহমুদউল্লাহ, তবে গতকাল যেন অন্য রূপে দেখা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য এমন আগ্রাসী ব্যাটিংকেই চেয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘কার্ডিফের ইনিংস খেয়াল করলে দেখবেন, উনি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন। এতে উনি মাঠের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। এটিই তাঁর খেলার সেরা ধরন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি আক্রমণাত্মকভাবে খেললেই ইতিবাচক মনোভাবে থাকেন। ইনিংসে থিতু হওয়ার জন্য ধীরে খেললে সেটি হয় না।’
হয়তো এমন মাহমুদউল্লাহকে আগামী ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতেও দেখতে চাইবেন ভক্তরা।