বাংলাদেশের সামনে নতুন ইতিহাসের হাতছানি
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার মাধ্যমে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ৫৭টি টেস্ট সিরিজের মধ্যে বাংলাদেশ জয়ের স্বাদ পেয়েছে মাত্র চারটি সিরিজে, ৯১টি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে মাত্র ২৫টি সিরিজে এবং ৩৫টি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে মাত্র পাঁচটি সিরিজে জয় পেয়েছে লাল-সবুদের দল। আজ শনিবার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন সাকিবরা। অবশ্য সিরিজ ১-১ সমতায় রয়েছে। তবে এই ম্যাচে জিতলেই নতুন ইতিহাস গড়বে লাল-সবুজের দল।
এর আগে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে কোনো প্রতিপক্ষকে তিনটি বিভাগেই সিরিজে পরাজিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে এমন কীর্তির খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছে টাইগাররা। নভেম্বরে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয়লাভ করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দল। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেই হোপের ব্যাটে ভর করে ১-১ সমতায় ফিরে এসেছিল ক্যারিবীয়রা। শেষ ওয়ানডেতে অবশ্য দাপুটে জয়েই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটে ক্যারিবীয়রা বিশ্বসেরা। সেটিই রোভম্যান পাওয়েলরা প্রমাণ করেছেন প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। সিলেটে সেই ম্যাচে ক্যারিবীয়রা বোলিং তোপে পুড়িয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের, ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে ১৩০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন আট উইকেট এবং ৯.১ ওভার হাতে রেখেই। অবশ্য মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে দাপটের সঙ্গে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই আজ শেষ ম্যাচের উপরই নির্ভর করছে সিরিজ শেষের হাসি কার মুখে ফুটবে।
দুটি সিরিজেই লজ্জাজনক হারের পর অবশ্যই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সান্ত্বনা নিয়ে ঘরে ফিরতে চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে, বিশ্বসেরা টি-টোয়েন্টি দলকেও হারানোর সামর্থ্য রাখে তারা। হারালেই কোনো প্রতিপক্ষকে এক সফরের সব ফরম্যাটের সিরিজে হারানোর ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। তবে ইতিহাস হবে নাকি ক্যারিবীয়রা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সান্ত্বনা নিয়ে ঘরে ফিরবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।