ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ভাবমূর্তি’ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার
আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি এবং সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ভাবমূর্তি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যাঁর হাত ধরে স্রোতের অনুকূলে ফেরার চেষ্টা চলছিল, সেই জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যু আবার বিশাল ধাক্কা দিয়েছে ভারতের ক্রিকেটকে। তবে নতুন সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর বিসিসিআইয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন।
২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন মনোহর। রোববার দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার সময় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামনে পড়তে হয়নি তাঁকে। সাদাসিধে জীবন-যাপনের জন্য বরাবরই প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেট-প্রশাসক। এমনকি যে দুটো জিনিস ছাড়া বহু আধুনিক মানুষের জীবন প্রায় অচল, সেই মোবাইল ফোন ও হাতঘড়িও ব্যবহার করেন না তিনি!
ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকের বিশ্বাস, ডালমিয়ার চিরবিদায়ের পর যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করা শুধু মনোহরের পক্ষেই সম্ভব। তাঁর মাধ্যমেই কলঙ্ক মোচন করে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ফিরে পাবে বিসিসিআই। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাধর ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মনোহরের কণ্ঠেও একই অঙ্গীকার, ‘আমার প্রথম কাজ হবে বোর্ডের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা।’
ক্রিকেট বোর্ডের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মনোহর, ‘দুঃখজনক হলেও সত্যি, অনেকেরই ধারণা যে বোর্ডের কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয় না। আর সব কিছুর মধ্যে গোপনীয়তা থাকে। কিন্তু বোর্ড কখনো কোনো ভুল কাজ করেনি। ভেতরের তথ্য বাইরে প্রকাশিত না হওয়ায় অনেকেরই ধারণা বোর্ডে কিছু একটা গোলমাল চলে।’ এই ‘ভুল’ ধারণা ভেঙে দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান, আয়-ব্যয়ের হিসাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মনোহর।
পাশাপাশি নারী ক্রিকেটারদের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তি, বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি পুনর্গঠন এবং প্রাদেশিক পর্যায়ের ক্রিকেট প্রশাসকদের আর্থিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন বিসিসিআইয়ে নতুন সভাপতি।