নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ শ্রীলঙ্কা
লক্ষ্য বিশাল, ৩৬৫ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৪৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন থিসারা পেরেরা। মাত্র পাঁচ রান দূরে দলীয় ২৪৯ রানেই উইকেট পড়ল চারটি। এমন অদ্ভুত ব্যাটিংয়ে পাঁচ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের পরাজয় বরণ করল সফরকারীরা। আর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে হারিয়ে তাদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
আগের দুই ম্যাচেই রান তাড়া করে হেরে যাওয়া লঙ্কানরা টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র ৩১ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠিয়ে অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা নিজের সিদ্ধান্তের সপক্ষে প্রাথমিক রসদের জোগান দেন। কিন্তু মিডলঅর্ডারের দৃঢ়তায় ৩৬৪ রানের পাহাড়সম স্কোর করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৪৯ রানে সবকটি উইকেট হারায় সফরকারীরা।
নেলসনের উইকেট প্রথম দুটি ম্যাচের মতো ব্যাটিং সহায়ক হবে, এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আধুনিক ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনী করে বিশাল এক স্কোর করে নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ইনফর্ম দুই ওপেনার গাপটিল আর মুনরোর উইকেট হারালেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এসে রস টেইলরকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন। ৫৫ রান করে উইলিয়ামসন আউট হয়ে গেলেও রস টেইলর পাঁচ নম্বরে নামা হেনরি নিকোলসের সঙ্গে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকেন লঙ্কান বোলারদের। দুজনের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় স্কোর পায় কিউইরা। ১৩১ বল খেলে টেইলর ১৩৭ ও মাত্র ৮০ বল থেকে ১২৪ রান করেন নিকোলস। শুরুতে দুটি উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত বেধড়ক মার খেয়ে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৯৩ রান দেন মালিঙ্গা।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু করলেও পুরো ইনিংসজুড়ে ভুতুড়ে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। ১০৭ থেকে ১১৭ রানে তিনটি উইকেট হারায় লঙ্কানরা। আগের ম্যাচের হিরো থিসারা পেরেরা আর দানুশকা গুনাথিলাকা ষষ্ঠ উইকেটে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন দলকে। কিন্তু দলীয় ২৪৪ রানে থিসারা আউট হয়ে গেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যায় সব প্রতিরোধ। শেষ পাঁচ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্রায় নয় ওভার বাকি থাকতেই ২৪৯ রানে গুঁড়িয়ে যায় লঙ্কান ইনিংস। থিসারা সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন। কিউইদের পক্ষে পেসার লকি ফার্গুসন চারটি ও স্পিনার ইশ সোধি তিনটি উইকেট নেন।
অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।