আবারও আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার সালাহ

Looks like you've blocked notifications!

টানা দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকান বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। সেনেগালে গতকাল আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

২৬ বছর বয়সী লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড বর্ষসেরা পুরস্কারের তালিকায় পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ সেনেগালের সাদিও মানে ও আর্সেনালের গ্যাবনিজ স্ট্রাইকার পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংকে।

ডাকারে পুরস্কার গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহ বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এই পুরস্কার জয়ের স্বপ্ন দেখতাম। আর এখন পরপর দুবার আমি এটা গ্রহণ করছি। এ জন্য আমি পরিবার, সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই শিরোপা আমার দেশ মিসরকে উৎসর্গ করতে চাই।’

গত বছর এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে সালাহ ১৯৮৩ সালে মাহমুদ আল খতিবের পর প্রথম মিসরীয় হিসেবে বর্ষসেরা ফুটবলার মনোনীত হয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার ডাকারে অনুষ্ঠিত সিএএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬-১ ভোটে পেছনে ফেলে ২০১৯ আফ্রিকান নেশনস কাপ আয়োজনের স্বত্ব লাভ করে মিসর। প্রাথমিকভাবে ক্যামেরুন এই দায়িত্ব পেলেও প্রস্তুতিতে বিলম্ব ও নিরাপত্তাজনিত কারণে মধ্য আফ্রিকার দেশটি থেকে টুর্নামেন্টে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে ক্যামেরুনে অনুষ্ঠিত হবে আফ্রিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। যদিও ১৫ ভোটের ব্যবধানে মিসরের জয়টা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সালাহ সবচেয়ে বেশি ৪৪ গোল করেছিলেন। অ্যানফিল্ডে এসে প্রথমবারই এ ধরনের সাফল্য সকলকে মুগ্ধ করেছে। এবারের মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত করেছেন ১৩টি গোল। এদিকে অবামেয়াং সালাহর থেকে লিগে এক গোল বেশি করে টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা হ্যারি কেনের সঙ্গে ১৪ গোল নিয়ে লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন ধরে রেখেছেন।

২০১০ সালে কায়রোভিত্তিক ক্লাব এল মোকাওলুন দিয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা সালাহ ২০১২ সালে সুইজার‌্যান্ডের ক্লাব বাসেলে যোগ দেন। দুই বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসিতে যোগ দিলেও পরের বছরই ধারে ইতালিয়ান ফিওরেনটিনা ও রোমায় খেলতে যান। ২০১৭ সালে রোমা থেকে লিভারপুরে যোগ দিয়ে নিজের যোগ্যতার শতভাগ প্রমাণ দেন।

এবারের পুরস্কারের তালিকায় বর্ষসেরা আফ্রিকান কোচ মনোনীত হয়েছেন মরক্কো জাতীয় দলের কোচ হার্ভি রেনার্ড। নারীদের বিভাগে বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও কোচ মনোনীত হয়েছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রেসটিনা কাগাতলানা ও ডিসায়রি এলিস।