ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
টানা চারবারের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল। প্রথমবারের মতো পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে মন্ত্রী পরিচয়ের চেয়েও বড় কথা, আপাদমস্তক একজন ক্রীড়ানুরাগী মানুষ তিনি। নবম ও দশম সংসদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। এবারের দায়িত্ব আরো বড়। তাই নিজের পছন্দের বিচরণ ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আগামীর পরিকল্পনার কথা।
তরুণ এই মন্ত্রী প্রথমেই কথা বলেছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অপ্রতুল বাজেট নিয়ে। মোট ৫৩টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন আছে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কিন্তু আমাদের গোটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাজেট অনেক দেশের একটি ফেডারেশনের বাজেটের চেয়েও কম। তাই মন্ত্রীর মতে, অন্তত কয়েক গুণ বাড়ানো প্রয়োজন মন্ত্রণালয়ের বাজেট। আশাবাদের কথা শুনিয়ে জাহিদ আহসান বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রী দুজনেই অত্যন্ত ক্রীড়ানুরাগী। তাই মন্ত্রণালয়ের বাজেট দ্রুতই বাড়াতে সক্ষম হব আশা করছি।’
ফিফা র্যাংকিংয়ে ফুটবল এখন একেবারেই তলানিতে। ক্রিকেট, শ্যুটিংয়ের বাইরে কালেভদ্রে হাতে গোনা কয়েকটি খেলা থেকে সাফল্য আসে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। অনেক ফেডারেশন সঠিক সময়ে ঘরোয়া পর্যায়ে নিজেদের খেলাগুলোও আয়োজন করতে পারে না। আছে অব্যবস্থাপনা আর গ্রুপিংয়ের বহুবিধ বাধা। তাই চ্যালেঞ্জটা কম নয় নতুন মন্ত্রীর। এসব নিয়ে এরই মধ্যে আলাদা পরিকল্পনা করেছেন মন্ত্রী। অতীতের ফলাফল, আগামী দিনের সম্ভাবনা আর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাওয়া সাফল্যের ভিত্তিতে বরাদ্দ দিতে চান ফেডারেশনগুলোকে। এতে করে ফেডারেশনগুলো গতিশীল হবে আর মাঠেও সাফল্য আসবে বলে আশাবাদ তাঁর।
ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথিত দূরত্বও কমিয়ে আনতে চান মন্ত্রী। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে। নিজের জেলাসহ সারা দেশে খেলার মাঠ কমে আসাটাও বড় চ্যালেঞ্জ জাহিদ আহসান রাসেলের জন্য। সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে নতুন নতুন খেলার মাঠ তৈরিতে বিশেষ খেয়াল দিতে চান তিনি।
মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েই নিজের এমন ভাবনার কথা জানিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আশ্বস্ত হতে বলেছেন নতুন মন্ত্রী। ক্রীড়ানুরাগী, সংগঠক, সাংবাদিকসহ সবার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত মন্ত্রীর পথচলাও সাফল্যমণ্ডিত হবে, ঘুরে দাঁড়াবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সবাই।