রোনালদোর ডিএনএ দেখতে চায় পুলিশ
লাস ভেগাসের একটি হোটেলে ২০০৯ সালে ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে। লাস ভেগাসের পুলিশ ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে ইতালিয়ান পুলিশ কর্তৃপক্ষকে রোনালদোর ডিএনএ পাঠাতে অনুরোধ করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এসে ইতালিয়ান সিরি-আ চ্যাম্পিয়ন জুভান্টাসে খেলছেন ৩৩ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা। সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি ইতালিতে পাঠানো এই ওয়ারেন্টের কথা নিশ্চিত করেছে।
জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ডার স্পেইজেল’ গত অক্টোবরে প্রথম এই ঘটনা নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। ওই নিবন্ধটিতে বলা হয়, ক্যাথরিন মায়োরগা নামের অভিযোগকারী নারী ঘটনার পর পরই লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁরা আরো জানিয়েছে, ২০১০ সালে প্রায় তিন লাখ পঁচাত্তর হাজার ডলারে ওই নারীর সাথে আদালতের বাইরে দফারফার চেষ্টাও করেছেন রোনালদো। তবে কোনো রফা না হওয়ায় ক্যাথরিনের আইনজীবীরা এখন এই সমঝোতার চেষ্টাকে অসাড় বলছেন।
এদিকে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া বার্তায় এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন রোনালদো। তাঁর আইনজীবী পিটার এস ক্রিস্টিয়ানসেন ওয়ারেন্ট পাঠানোর ঘটনাকে খুবই স্বাভাবিক একটি আইনি প্রক্রিয়া বলেছেন। কিছুদিন আগে রোনালদোর সমঝোতার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে এটাকে মোটেই রোনালদোর ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা নয়, বরং আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত জনসম্মুখে কোনো বিতর্কিত বিবৃতি প্রদান থেকে বাদীকে বিরত রাখার জন্য একটি প্রচেষ্টা বলেছেন তিনি।
নিজের মক্কেলকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে রোনালদোর আইনজীবী ওয়ারেন্ট ইস্যুর ঘটনাকে তদন্তের একটি অংশ বলে অভিহিত করেছেন। আর পুরো ঘটনাটিকে সাজানো একটি গল্প বলেছেন পাঁচবার ফিফা ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।