কোহলির শতকে সিরিজে ফিরেছে ভারত
আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বড় রান তাড়া করে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি সত্ত্বেও দল হেরে গিয়েছিল। তবে দেশে বা দেশের বাইরে, রান তাড়া করতে নামলে কোহলির বড় স্কোর মানেই ভারতের জয় মোটামুটি নিশ্চিত। পরে ব্যাট করে জয়ের চ্যালেঞ্জটা যেন তাঁতিয়ে দেয় তাঁকে। যেকোনো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে রান তাড়া করে জয় এনে দেয়াটা রীতিমতো ডালভাতে পরিণত করেছেন তিনি। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তেমনই এক নজির স্থাপন করলেন আরো একবার।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৯তম সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এরমধ্যে ২৪টি সেঞ্চুরিই এসেছে রান তাড়া করে। পরে ব্যাট করে করা সেঞ্চুরিগুলোর এই ২৪টি ম্যাচের মাত্র তিনটিতে হেরেছে ভারত। তবে আজ অ্যাডিলেডে জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ভারত। বিফলে গেল অসি ব্যাটসম্যান শন মার্শের দারুণ সেঞ্চুরি। তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
প্রথম ইনিংসের শেষদিকে বোলাররা ভারতকে ম্যাচে ফেরালে তিন শতাধিক স্কোর পেতে ব্যর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। তবে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ২৯৯ রানের লক্ষ্যটাও কম নয়। ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৩২) আর রোহত শর্মা (৪৩) ভাল শুরু করেন। কিন্তু দুজনেই বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। আম্বাতি রাইডু (২৪) আরেকবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এক-দুই রান করে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখেন কোহলি। ১১২ বলে পাঁচটি চার আর দুই ছক্কায় ১০৪ রান করে ঝাই রিচার্ডসনের বলে আউট হন তিনি। ততক্ষণে হাতছোঁয়া দূরত্বে এসে গেছে জয়। ধোনি(৫৫) আর দিনেশ কার্তিক (১৪ বলে ২৫) মিলে অবশিষ্ট কাজটুকু সারেন।
শেষ পাঁচ ওভার থেকে ৪৪ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। শেষ ওভারে সাত রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। তবে প্রথম বলেই বেরেনডর্ফের বলে ধোনি ছক্কা হাঁকিয়ে সব উত্তেজনা শেষ করে দেন। চার বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সে সেরা খেলোয়ার হয়েছেন কোহলি। আগামী ১৮ জানুয়ারি মেলবোর্নে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।