একদিন আগেও দায়িত্ব ছাড়বেন না ব্ল্যাটার
সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সেপ ব্ল্যাটারের। একে তো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার ওপরে ফিফা সভাপতির পদ থেকে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার ফিফার চারটি প্রভাবশালী স্পন্সর। তবে ব্ল্যাটার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের আগে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছেই তাঁর নেই।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফায় দীর্ঘ ধরে ব্ল্যাটার ‘দণ্ডমুণ্ডের কর্তা’। কিন্তু ১৯৯৮ সাল থেকে ফুটবলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির উজ্জ্বল ভাবমূর্তিতে কলঙ্কের দাগ পড়েছে এ বছর। ঘটনার শুরু মে মাসের শেষ সপ্তাহে, সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা কংগ্রেসের ঠিক দুদিন আগে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জুরিখেরই এক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হন ফিফার সাত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ব্ল্যাটার অবশ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি। কিন্তু টানা পঞ্চমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র চারদিন পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে হতবাক করে দেন ফুটবল-দুনিয়াকে।
তখন থেকেই সন্দেহের তীর তাঁর দিকে। সন্দেহটা অনেক বেড়ে গেছে নতুন অভিযোগের কারণে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ব্ল্যাটারকে। পাশাপাশি ফিফার স্পন্সর কোকাকোলা, ভিসা, ম্যাকডোনাল্ডস ও বাডওয়াইজার যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ব্ল্যাটার অবিচল। জার্মান ম্যাগাজিন ‘বুন্টা’কে তিনি বলেছেন, ‘আমি ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজ বন্ধ করব। তার একদিন আগেও নয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব। নিজের জন্য, আর ফিফার জন্যও। আমি নিশ্চিত, অশুভ শক্তির জারিজুরি ফাঁস হয়ে সত্যের জয় হবেই।’ চারটি স্পন্সরের দাবিকেও পাত্তা দিতে রাজি নন তিনি, ‘এগুলো তো সব মার্কিন কোম্পানি। ফিফার অন্যান্য স্পন্সর যেমন জার্মানির অ্যাডিডাস, দক্ষিণ কোরিয়ার হিউন্দাই আর রাশিয়ার গ্যাজপ্রোম আমার পাশেই আছে।’