ঢাকার বিপক্ষে নাটকীয় জয় তামিমের কুমিল্লার

Looks like you've blocked notifications!

জয়ের জন্য শেষ দুই বলে ঢাকা ডায়নামাইটসের চাই ১২ রান। কাজটা বেশ কঠিন হলেও উইকেটে যখন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল, অনেকেই তখনো আশাবাদী ছিলেন। পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ঢাকার সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন তিনি। কিন্তু শেষ বলে গিয়ে আর পারলেন না, চার মেরেছেন ঠিক—কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ১ রানে হেরে গেছে ঢাকা।

অবশ্য এই হারে ঢাকা ডায়নামাইটসের শেষ চারে খেলার আশাটা শেষ হয়ে যায়নি। প্লে-অফ পর্বে খেলতে হলে শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পঞ্চম স্থানে। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা উঠে গেল সবার ওপরে। 

অবশ্য ঢাকার জয়ের জন্য লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, মাত্র ১২৮ রান। এই রান তাড়া জিততে পারলেই শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু তা পারেনি, ১২৬ রানে তাদের ইনিংস থামে।

কুমিল্লার এই দারুণ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। চার ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন তিনি। তরুণ মেহেদী হাসান রানা পান দুই উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে ওপেনার তামিম ইকবাল ভালোই শুরু করেছিলেন। মাত্র ২০ বলে ৩৮ রান করে ভালো সূচনা এনে দেন।

তামিম ফিরে যাওয়ার পরই সব চিত্র পাল্টে যায়। দ্রুত ব্যাটসম্যানরা সাজঘরে ফিরতে শুরু করেন। তামিম ছাড়া এদিন আর কোনো ব্যাটসম্যানই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তাই দলও ভালো সংগ্রহ গড়তে পারেনি।

অবশ্য এই ম্যাচটি ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্লে-অফ পর্বে খেলতে হলে শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। তাই যেন সাকিব আল হাসানের দল মরিয়া হয়ে মাঠে নামে।

অবশ্য ঢাকার বোলাররা এদিন বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। পেসার রুবেল হোসেন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত বল করেন। রুবেল চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। আর সাকিব ও নারিন নেন দুটি করে উইকেট।