রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে তামিমের কুমিল্লা
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সেরা সাফল্য ২০১৫ সালে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে সেবার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরবর্তী আসরগুলোতে আর খুব একটা সাফল্য পায়নি তারা। দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরে দুই মৌসুম পর আবার ফাইনালে উঠেছে তারা। তাও আবার নড়াইল এক্সপ্রেসের দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে তারা।
আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কুমিল্লা ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে। রংপুরের করা ১৬৫ রানের জবাবে তারা মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বলা যায় পুরো আধিপত্য বিস্তার করেই এই ম্যাচ জিতেছে তামিম-ইমরুলরা।
ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস (৭১*) ও এনামুল হক (৩৯) ও শামসুর রহমানের (৩৪*) চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় কুমিল্লার জয়টি সহজ হয়ে যায়। রংপুরের কোনো বোলারই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তাদের সামনে।
অবশ্য রংপুরের সংগ্রহও খুব একটা বড় ছিল না। তাদের শুরুটা ছিল একেবারেই বাজে। ওপেনার মেহেদী মাহরুফ (১) ও ওয়ানডাউনে নামা মোহাম্মদ মিঠুন (৩) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন।
এরপরই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল দলের বিপের্যয়ে হাল ধরেন। ৪৪ বলে ৪৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। যাতে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে।
ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন রাইলি রুশো। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান ৩১ বলে ৪৪ রান করেন। তবে শেষ দিকে দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ইংলিশ ব্যাটস্যান বেনি হাওয়েল। তিনি ২৮ বলে ৫৩ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যা তিনি সাজিয়েছেন পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চারের মার দিয়ে।
যদিও এই কুমিল্লা লিগ পর্বে রংপুরের সামনে একরকম বিধ্বস্ত হয়েছিল। প্রথমটিতে ৬৩ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল। সেই দুই ম্যাচে তাই বড় ব্যবধানে জিতেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ চারে সেই কুমিল্লার কাছে হেরে গেছে মাশরাফির দল।
তবে এই ম্যাচে হারলেও আসর থেকে বিদায় নেয়নি রংপুর। কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হবে তারা। আগামী বুধবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।