তামিমের শতকে বড় সংগ্রহের পথে চট্টগ্রাম
আগের দিনশেষে মাত্র ১০ রান দূরে ছিলেন শতক থেকে। দ্বিতীয় দিনে শতক পূরণ করতে ভুল হয়নি জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে তামিমের পর তাসামুল হকও শতক করায় বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। বরিশালের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ সাত উইকেটে ৪৪৪ রান।
ঢাকা আর সিলেট বিভাগের সংগ্রহও ভালোই। জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ছয় উইকেট নিলেও ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩২৭ রান করেছে ঢাকা বিভাগ। আরেক ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে সিলেটের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৩২৮ রানে। খুলনা-রংপুর ম্যাচে চলছে বোলারদের রাজত্ব। প্রথম ইনিংসে খুলনার ২১১ রানের জবাবে রংপুর গুটিয়ে গেছে ২২০ রানে।
রোববার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৯০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তামিম। ২২৯ বলের দারুণ ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৭টি চার ও তিনটি ছক্কায়। তামিমকে দেখে উজ্জীবিত হয়েছেন তাসামুলও। বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ডাক পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান চার নম্বরে নেমে ১০৭ রান করেন। ২৪ বছর বয়সী তাসামুলের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি সপ্তম শতক।
বরিশালের পক্ষে জাতীয় দলের অফস্পিনার সোহাগ গাজী ১১৪ রানে তিন উইকেট নিলেও চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। তরুণ স্পিনার আল আমিন ৫৬ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন।
ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান রাকিবুল হাসান অল্পের জন্য শতকবঞ্চিত হয়েছেন। ঢাকা বিভাগের এই ব্যাটসম্যান ৯৯ রান করে আউট হয়ে গেছেন। আরাফাত সানির ছয় উইকেটের পেছনে খরচ ৯৬ রান। জবাবে ঢাকা মেট্রো চার উইকেটে ২২১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। শামসুর রহমান শুভ ১১৮ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ইমতিয়াজ হোসেনের (১৫৪) শতকের পর রুমান আহমেদের (৮২) ব্যাটিং দৃঢ়তা সিলেটকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছে। ৭৩ রানে চার উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। জবাবে ফরহাদ হোসেনের (৮০*) দৃঢ়তায় দিন শেষে রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের স্কোর ১৮৩/৩।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বোলারদের দাপট চলছেই। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের দৃঢ়তভরা ৯৬ রানও রংপুরকে নয় রানের বেশি লিড এনে দিতে পারেনি। নাসিরকে শতকবঞ্চিত করা মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে সে জন্য কৃতজ্ঞ থাকতে হবে স্বাগতিকদের। অফব্রেকে ৫০ রানের বিনিময়ে মিরাজের শিকার ছয়টি। ৭৭ রানে চার উইকেট নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৩০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা।