অল্প কিছু খেলোয়াড়ই আছেন, যাঁদের সাফল্য কামনায় আওয়াজ তোলে প্রতিপক্ষের সমর্থকরাও। এ তালিকায় হয়তো শুরুর দিকে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের নাম। কানপুরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ‘এবি’ ‘এবি’ চিৎকারে গলা ফাটিয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। শুধু দর্শক-সমর্থকের দিক থেকেই নয়, মাঠের পারফরম্যান্সের বিচারেও ভারতকে হয়তো প্রিয় দেশের তালিকায় রাখতে পারেন ডি ভিলিয়ার্স। ভারতের মাটিতে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিচ্ছে তেমনই ইঙ্গিত।

ভারতে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং গড় ৭২.৫৮। এখানে সর্বশেষ ১৬টি ইনিংসের মধ্যে আটটিতেই অর্ধশতক করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে সর্বশেষ ১০ ইনিংস থেকে। পাঁচটি শতক ও দুটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে এই ১০ ইনিংসে করেছেন ৭৪৬ রান। ব্যাটিং গড় ১২৪.৩৩!

কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও শতক করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। শুরুতে অবশ্য তাঁকে দেখা যায়নি স্বভাবসুলভ বিধ্বংসী ভঙ্গিতে। অর্ধশতক করেছিলেন ৫৪ বল খেলে। তবে এরপরই চিরচেনা রূপ ধারণ করেন ওয়ানডেতে দ্রুততম শতক রেকর্ডের মালিক। অর্ধশতক থেকে শতকে পৌঁছাতে খেলেন মাত্র ১৯ বল। এ সময়ের মধ্যেই মেরেছেন পাঁচটি চার ও চারটি ছয়।

৭৩ বলে ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলে ভারতের বিপক্ষে এক হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। জ্যাক ক্যালিস, গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবসের পর দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের বিপক্ষে এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

ভারতের বিপক্ষে রোববারের শতকটি ছিল ডি ভিলিয়ার্সের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২১তম শতক। এর মাধ্যমে একটা রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে বেশি, ২১টি শতক করে নাম লিখিয়েছেন হার্শেল গিবস ও হাশিম আমলার পাশে।

ডি ভিলিয়ার্সের এই ২১টি শতকের মধ্যে ১০টি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি শতক করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তাঁর নাম আছে তৃতীয় স্থানে। আগে আছেন শুধু সৌরভ গাঙ্গুলী (১১) ও রিকি পন্টিং (২২)। শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়াও করেছিলেন ১০টি শতক। তবে ডি ভিলিয়ার্স অধিনায়ক হিসেবে ১০টি শতক করেছেন সবচেয়ে কম, ৬৮টি ইনিংস খেলে।