ইতিহাস গড়া সাফল্যে অভিভূত শ্রীলঙ্কা

প্রথম টেস্টে এক ও দ্বিতীয় ম্যাচে আট উইকেটে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার প্রথম কোনো দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের নজির গড়ল লঙ্কানরা। সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের আন্ডারডগ ভেবেই খেলতে নেমেছিলেন শ্রীলঙ্কা নতুন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তাই সিরিজে দল এতটা ভালো ফল করবে তা ভাবতেও পারেননি করুনারত্নে। তিনি বলেন, ‘সিরিজ শুরুর আগে আমরা নিজেদের নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি। তবে সিরিজে এতটা ভালো খেলতে পারব এবং এমন ফল ভাবতে পারিনি।’
টানা তিনটি সিরিজ হারের স্বাদ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। আন্ডারডগের তকমাটা এমনিতেই গায়ে লেগে যায় লঙ্কানদের। কিন্তু টেস্ট সিরিজে দেখা যায় অন্য এক শ্রীলঙ্কাকে। সিরিজের প্রথম টেস্টে নিশ্চিত হার থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের পেছনে একাই অবদান রাখেন কুশল পেরেরা।
৩০৪ রানের টার্গেটে দলীয় ২২৬ রানে নবম উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে শেষ ব্যাটসম্যান বিশ্ব ফার্নান্দোকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৮ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। এই জুটির কল্যাণে এক উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। পেরেরা খেলেন ১৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস ।
প্রথম টেস্ট জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। তাই দ্বিতীয় টেস্টে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে আট উইকেটে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। সেই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম দল হিসেবে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করবে শ্রীলঙ্কা, এমনটা ভাবেননি দলের অধিনায়ক করুনারত্নেও। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-০ ব্যবধানে হারানো মোটেও সহজ ছিল না। যখন আমরা এখানে আসি, তখন আমরা আন্ডারডগ ছিলাম। কিন্তু আমরা আগের সফর থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম এবং এই কন্ডিশনে সেগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। এভাবে সিরিজ জয়, অনেক বড় অর্জন।’
সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের মধ্যে অনেক বেশি আলোচনা করেছেন বলে জানান করুনারত্নে, ‘আমরা সিরিজে ভালো পারফরমেন্স করতে চেয়েছি। এজন্য সিরিজ শুরুর আগে অনেক বেশি আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা ক চাচ্ছি, ম্যানেজমেন্ট কী চাচ্ছে, সেটি নিয়েই আলোচনা করেছি।’
সিরিজ শুরুর আগে এমন ফল মোটেও আশা করেননি করুনারত্নে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এমন ফল আশা করিনি আমরা। কিন্তু যখন আমরা জিততে শুরু করেছি, তখন থেকে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। জয়ই ছিল আমাদের আসল লক্ষ্য। যদি আমরা পারফরমেন্স করতে পারি, তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে ভালো হবে।’