বোলারদের দাপটের ম্যাচে খুলনার জয়ের সুবাস
অন্য ম্যাচগুলোতে যখন ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখাচ্ছে, ভীন্ন চিত্র খুলনা ও রংপুর বিভাগের ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে বোলাররাই দাপট দেখাচ্ছে। বোলারদের দাপটের এই ম্যাচে অবশ্য জয়ের সুবাস পাচ্ছে খুলনা। তবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল ম্যাচটি নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো এবং সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচও একই পথে এগুচ্ছে।
সোমবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় দিনে বোলারদের এতটাই দাপট ছিল যে, রংপুর বোলার সঞ্জিত শাহা একাই সাত উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাই খুলনার দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ২০৮ রানে থেমে গেছে। তবে প্রতিপক্ষ রংপুরের সামনে তাঁরা ছুড়ে দিয়েছে ২০০ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে রংপুরও। মাত্র ৫৮ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা।
রংপুরকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। করতে হবে ১৪২ রান, হাতে আছে মাত্র চার উইকেট। খুলনার জাতীয় দলের সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ৪৪ রানে চারটি ও মেহদী হাসান মিরাজ ১৩ রানে দু্ই উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামান।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ৪৬৭ রান করে তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। অবশ্য জবাবটা ভালোই দিয়েছে বরিশাল— তৃতীয় দিন শেষে নয় উইকেট হারিয়ে ৩৪৫ রান তুলে। অনেকটা নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যাওয়া এই ম্যাচটিতে অবশ্য বরিশাল এখনো ১২২ রানে পিছিয়ে আছে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের ৩২৭ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো করেছে ৩৫২ রান। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে পিছিয়ে থাকা ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৬৫ রান তুলেছে। তাঁরা ৪০ রানের লিড নিলেও হারিয়ে ফেলেছে চার উইকেট।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেট ও রাজশাহীর ম্যাচটিও ড্রয়ের পথে এগুচ্ছে। সিলেটের ৩২৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে রাজশাহী ৩৮০ রান করে ফরহাদ হোসেনের সেঞ্চুরিতে। প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নিয়ে রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ১৪ রান তুলেছে কোনো উইকেট না হারিয়েই।