দুই বছর পর তামিমের সেঞ্চুরি-সাফল্য
এই কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ১৪১ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। সেই তিনি অবশ্য নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। তিন ম্যাচের একটিতেও দুই অঙ্কের কোটা পার হতে পারেননি। সিরিজের প্রথম টেস্টে আবার স্বরূপে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। খেলে ফেললেন অসাধারণ একটি ইনিংস।
হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। কিউইদের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে দারুণ খেলেছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৮ বলে ১২৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি, যাতে ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে।
এক দশকের বেশি সময় আগে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। ডানেডিনে ২০০৮ সালে সেই ম্যাচ খেলতে নেমেই নিজের জাতটা ভালোভাবেই চিনিয়েছিলেন। মোহাম্মদ আশরাফুলের সেই দলের হয়ে দুই ইনিংসেই চমৎকার দুটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর সেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আবার একটি চমৎকার ইনিংস খেলেছেন। কিউইদের বিপক্ষে তামিমের এটি প্রথম শতক।
তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাঁর সেই ইনিংসটি ছিল ১২৮ রানের। এর পর ২০১০ সালে ভারত (১৫১), একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (১০৩ ও ১০৮), দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ( ১০৯ ও ১০৯), ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে (২০৬) এবং ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (১০৪) সেঞ্চুরির সাফল্য পেয়েছিলেন তামিম।
তামিমের এই কীর্তির দিনে বাংলাদেশ দল অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিউইদের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একেবারেই নাজেহাল অবস্থা হয়েছে। তাই ২৩৪ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় দল।
তামিম ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিটন দাসের। তিনি ৫৮ বল খেলে করেন ২৯ রান।
সম্প্রতি চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড ও সাবেক ক্রিকেটার-কোচ সৈয়দ আলতাফ হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ দল মাঠে নেমেছে জার্সিতে কালো ফিতা লাগিয়ে।