গেইলের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়

সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে একই সঙ্গে অনেক রেকর্ড স্পর্শ করলেন ক্রিস গেইল। বাঁহাতি বিস্ফোরক এই ওপেনার বুধবার রাতে খেলেন ৯৭ বলে ১৬২ রানের মারকুটে ইনিংস। ১৪টি ছক্কা ও ১১ চারে সাজানো গেইলের ইনিংসের বদৌলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ৩৮৯ রান। পাহাড়সম স্কোর সত্ত্বেও স্বাগতিকরা হেরে যায় ২৯ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ইংলিশরা ৪১৮ রানের অবিশ্বাস্য এক সংগ্রহ গড়েছিল!
নিজের ইনিংসটি খেলার পথে ব্রায়ান লারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন গেইল। ১৪ ছক্কা হাঁকানোর পথে ওয়ানডেতে তিনশ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচশ ছক্কার মাইলফলকে পৌঁছান। চলতি সিরিজে তিন ইনিংসে গেইল ছক্কা মেরেছেন ৩০টি। ফলে রোহিত শর্মার ২৩ ছক্কা ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন তাঁর।
গ্রানাডায় প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক এউইন মরগ্যান ও জস বাটলারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪১৮ রানের সুবিশাল স্কোর দাঁড় করায় ইংলিশরা। ১৩.৫ ওভারে বরাবর ১০০ রান করে ভাঙে ইংলিশদের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যালেক্স হেলস যখন আউট হন, তখন ২৫.৫ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬৫ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২০.২ ওভারে ২০৪ রান তোলেন মরগ্যান ও বাটলার। দুজনের ঝড়ো ব্যাটংয়ে শেষ ১০ ওভারে ১৫৪ রান তোলে ইংলিশরা। ৮৮ বলে আট চার ও ছ্য় ছক্কায় ১০৩ রান করে আউট হন মরগ্যান। অন্যদিকে বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ৭৭ বলে ১৩টি চার ও ১২ ছক্কায় ১৫০ রান করেন বাটলার। এ ছাড়া হেলস করেন ৮২ রান।
প্রায় অসম্ভব এক রান তাড়া করতে নেমে বাজে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন ক্যাম্পবেল ও শেই হোপকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন মার্ক উড। তবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের কক্ষপথে রাখেন গেইল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ড্যারেন ব্রাভোর সঙ্গে উপহার দেন ১৭৬ রান।
চারটি করে ছক্কা-চারে ৬১ রান করা ব্রাভো ও শিমরন হেটমায়ারকে তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন উড। দলীয় ২৯৫ রানে গেইলও ফিরে যান। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান, হাতে ছিল চারটি উইকেট। কিন্তু ইনিংসের ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চারটি উইকেটই তুলে নেন রশিদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যায় ২৯ রানে।