দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে অসহায় বাংলাদেশি বোলাররা

Looks like you've blocked notifications!

তামিম ইকবালের কথা বাদ দিলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের ভয়ংকর বোলিং আক্রমণ মোকাবিলা করতে গিয়ে ২৩৪ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা। হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশি বোলারদেরও একই দশা হয়েছে, স্বাগিতক ব্যাটসম্যানদের সামনে একরকম অসহায় হয়ে পড়ে তারা।

দুই সেঞ্চুরির এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড তাই গড়েছে রানের পাহাড়। দুই ওপেনার জিত রাভাল ও টম ল্যাথাম চমৎকার দুটি শতকের পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই দিন শেষে কিউইরা গড়েছে ৪৫১ রানের বিশাল সংগ্রহ। তারা উইকেট হারিয়েছে চারটি। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২১৭ রানের লিড নিয়েছে।

রাভাল ১৩২ ও ল্যাথাম ১৬১ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও কেন উইলিয়ামসন ৯৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। আর হেনরি নিকোলস ৫৩ রান করেন। সৌম্য সরকার দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে প্রথম দিন বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ২৮ ওভারে ৮৬ রান করেছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে। কিউইদের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে তামিম দারুণ খেলেছেন। ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১২৮ বলে ১২৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট শতক, যাতে ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে।

তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হক (১২), মোহাম্মদ মিঠুন (৮) ও সৌম্য সরকার (১)। তিন ব্যাটসম্যান দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও মাঝখানে কিছুটা বিপদে পড়ে সাফরকারী দল। ২২ রানের একটি ইনিংস খেলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যান। তবে পরে লিটস দাস দলকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখান। তিনিও ২৯ রান করে আউট হলে সংগ্রহটা খুব একটা বড় হয়নি বাংলাদেশের।

ট্রেন্ট বোল্ট ও নিল ওয়াগনারের বোলিং তোপে বাংলাদেশের এই বাজে অবস্থা হয়েছে। ওয়াগনার ৪৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। আর বোল্ট পান ৩ উইকেট।