ফাইনালে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ প্রাইম দোলেশ্বর
ঢাকা প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগের ফাইনালে উঠেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোটিং ক্লাব। প্রাইম দোলেশ্বর ছয় উইকেটে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে এবং শেখ জামাল পাঁচ উইকেটে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে প্রাইম দোলেশ্বর। ব্যাট হাতে নেমে বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ৭১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝেও অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন জাকির হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে জাকিরের সঙ্গী হন অলক কাপালি। এই জুটি ৩৫ বল মোকাবিলা করে ৬৫ রান যোগ করেন। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫২ রানে আউট হন জাকির। তবে ক্রিজে থেকে যান কাপালি।
ইনিংসের শেষদিকে মারমুখী হয়ে উঠে কাপালির ব্যাট। ফলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে প্রাইম ব্যাংক। ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩১ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন কাপালি। ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ৩২ রানে পাঁচ উইকেট নেন। জাকির-কাপালির উইকেটও শিকার করেন ফরহাদ।
জয়ের জন্য ১৭১ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালোই করে প্রাইম দোলেশ্বর। তবে রানের তোলার গতি ছিল কম। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ বলে ৫১ রান দলকে এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হোসেন ও মোহাম্মদ আরাফাত। আরাফত ১৯ রানে থামলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ। দ্বিতীয় উইকেটে মার্শাল আইয়ুবের সাথে ৫৩ বলে ৭৬ রান যোগ করেন সাইফ। ১৭তম ওভারে দলীয় ১২৮ রানে থেমে যান সাইফ। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ বলে ৬১ রান করেন তিনি।
সাইফের বিদায়ের সময় ম্যাচ জিততে শেষ তিন ওভারে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল প্রাইম দোলেশ্বরের। এ অবস্থায় ক্রিজে আসেন ফরহাদ। মার্শালকে নিয়ে দ্রুতই রান তুলতে থাকেন তিনি। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩১ বল মোকাবিলা করে ৪৬ রানে মার্শাল আউট হলেও দলের আশা টিকিয়ে রাখেন ফরহাদ। শেষ পর্যন্ত সৈকত আলীকে নিয়ে দলের আশা পূরণ করেন ফরহাদ। মাত্র আট বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান তুলে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।