বোলিং আক্রমণ নিয়ে নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুললেন ওয়ালশ

Looks like you've blocked notifications!

দলের বোলিং কোচের নাম কোর্টনি ওয়ালশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি এই বোলার শিক্ষক হিসেবে থাকা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশ দলের বোলাররা কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ওপর। ৬ উইকেটে ৭১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে কিউইরা। দলের তিন পেসারের মধ্যে একমাত্র অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন একটি উইকেট নিতে পেরেছেন। অন্যদিকে পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার নিয়েছেন দুই উইকেট। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওয়ালশ বিশ্লেষণ করেছেন বোলারদের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণ। তাঁর মতে, অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ আর দলে পেসারদের নিয়মিত অদল-বদল করাই ব্যর্থতার কারণ।

হ্যামিল্টনে পেস বোলাররা মোট ৮৭ ওভার বল করে ৩৫৯ রান খরচ করেছেন। তিনজনের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা চারটি টেস্ট খেলা। সবচেয়ে অভিজ্ঞ আবু জায়েদ রাহি এর আগে খেলেছেন তিনটি টেস্ট। এক টেস্ট খেলা খালেদ আহমেদের সঙ্গে অভিষেক হলো ইবাদত হোসেনের। এত অনভিজ্ঞ আক্রমণ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের অচেনা কন্ডিশনে ভালো করা কষ্টসাধ্য। নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে ওয়ালশ বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, দল নির্বাচনে আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত কন্ডিশনে এত কম অভিজ্ঞতার বোলিং আক্রমণ নিয়ে ভালো কিছু আশা করা ঠিক নয়। নিয়মিত বোলারদের বদল করাও ঠিক হচ্ছে না। গত কয়েকটা সিরিজে নয়জন পেসার দলে এসেছেন আর গেছেন।’

এত অদল-বদল হলে বোলিং কোচের পক্ষে কাজটা ঠিকঠাকমতো করা মুশকিল হয়ে যায়। একজন বোলার দীর্ঘ সময় সান্নিধ্যে থাকলে তাঁকে ধীরে ধীরে টেস্ট ম্যাচের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করা যায়। তবে বাংলাদেশের বোলারদের প্রতিভা নিয়ে কোনো সংশয় নেই ওয়ালশের মনে। সমস্যার আসল কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলারদের সামর্থ্য বা প্রতিভার ঘাটতি নেই মোটেই। সমস্যা হচ্ছে ধারাবাহিকতায়। কিছুটা অনভিজ্ঞতার ফলে এমন হচ্ছে।’

এই টেস্টে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়াও আরো দুই কিউই ব্যাটসম্যান শতরান করেছেন। অর্ধশতক পেয়েছেন দুজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ের ব্যবচ্ছেদ করলেও কিউই ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিয়ে কিংবদন্তি এই বোলার বলেন, ‘এমন উইকেটে সেট হয়ে গেলে ব্যাটসম্যানকে আউট করা মুশকিল। ওরা খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের বোলারদের বুঝতে হবে, এটাই টেস্ট ক্রিকেট। সহজে উইকেট পাওয়া যাবে না।’