রূপগঞ্জের নাটকীয় জয়
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ভারতীয় বোলার চিরাগ জানির প্রথম দুই বলে এলো মাত্র এক রান। তবে ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এক লহমায় সব সংশয় দূরে ঠেলে দেন মুক্তার আলি। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল নিয়ে এক বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটের নাটকীয় এক জয় পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আজ শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনে সাভারের বিকেএসপি মাঠে রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে রূপগঞ্জের প্রতিপক্ষ ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাইম ইসলাম। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকে দলের বোলাররা। ১৭.১ ওভারে ৩৪ রান করা ফজলে মাহমুদ যখন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তখন দলের রান মাত্র ৫৯। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২৩ রান যোগ হতেই ফিরে যান আরো দুই ব্যাটসম্যান। ৮২ রানে ইনিংসের অর্ধেকটা খোয়ানো ব্রাদার্সকে টেনে তোলেন সম্প্রতি বিপিএল দিয়ে আলোচনায় আসা ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শরিফুল্লাহর সাথে ৯০ রান যোগ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৬৯ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৬৫ রান করে বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদের বলে আউট হন ইয়াসির। শেষদিকে শরিফুল্লাহর ৩৫, মোহাম্মদ শরীফের অপরাজিত ২৪ ও হাবিবুর রহমানের ২০ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২২০ রান করে ব্রাদার্স। রুপগঞ্জের মুক্তার আলি ও নাবিল সামাদ নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জের উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান ১১.২ ওভারে ৬৭ রান তুলে ভাল সূচনা এনে দেন দলকে। তবে ছয় বলের মধ্যে মাত্র দুই রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রূপগঞ্জ। তবে অভিজ্ঞ শাহরিয়ার নাফিস ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের সাথে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে কক্ষপথে নিয়ে যান। জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে ৯৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নাফিস। মুক্তার আলি সাত বলে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলে বাকি কাজটুকু সারেন। তবে ম্যাচজয়ী ইনিংসটির জন্য সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন শাহরিয়ার নাফিস।