বিপিএলে মাশরাফি-সাকিবদের ‘মূল্য’ ৩৫ লাখ
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নির্ধারিত হয়েছিল নিলামের মাধ্যমে। এবারও নিলাম হচ্ছে ঠিকই, তবে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের শ্রেণিবিন্যাস আগেই ঠিক করে দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাবেন ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদেশিরা পাবেন ৭০ হাজার ডলার করে।
বিপিএলের তৃতীয় আসরে আইকন খেলোয়াড় ছয় জন। তাঁরা হলেন- মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও নাসির হোসেন। প্রত্যেকেই ৩৫ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে আলোচনার পর ছয় আইকন খেলোয়াড়ের দল ঠিক করা হবে।
এখন পর্যন্ত ১২৩ জন দেশীয় খেলোয়াড়কে বিপিএলের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। আইকন ছাড়া দেশীয় খেলোয়াড়দের চারটি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক পাবেন ২৫ লাখ টাকা করে। ‘বি’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা ১৮ লাখ, ‘সি’ গ্রেডের ১২ লাখ এবং ‘ডি’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা পাবেন ৫ লাখ টাকা করে।
বিদেশি ১৯৬ জন খেলোয়াড় চারটি শ্রেণিতে পারিশ্রমিক পাবেন। ‘এ’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা ৭০ হাজার, ‘বি’ গ্রেডের ৫০ হাজার, ‘সি’ গ্রেডের ৪০ হাজার এবং ‘ডি’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা ৩০ হাজার মার্কিন ডলার করে পারিশ্রমিক পাবেন। তবে কোনো দল কোনো খেলোয়াড়কে এর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার দায় নেবে না।
বিদেশিদের তুলনায় দেশীয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক যে কিছুটা কম হয়েছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘এটা ঠিক যে দেশীয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। তবে গত দুই আসরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, নিলামে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক ঠিক করা হয়েছিল তার অর্ধেকও খেলোয়াড়রা পাননি। তাই আমরা এমনভাবে পারিশ্রমিক ঠিক করেছি যাতে খেলোয়াড়রা পুরো টাকাই হাতে পায়।’
ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি বিপিএলের দ্বিতীয় আসরকে ঘিরে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। যে কারণে প্রায় আড়াই বছর এই প্রতিযোগিতা বন্ধ রেখেছিল বিসিবি। এবার যেন কোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিসিবি আগে থেকেই সজাগ। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির (আকসু) মতো একটি কমিটিও গড়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই কমিটির দায়িত্ব ম্যাচ পাতানোর মতো বিতর্কিত ঘটনা প্রতিরোধ করা।