কেপটাউনে সুপার ওভার নাটকে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র পাঁচ রান, শেষ দুই বলে দুই রান। উইকেটে জেপি ডুমিনির মতো জেনুইন ব্যাটসম্যান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি পেসার ইসুরু উদানার দুর্দান্ত সেই ওভারের পঞ্চম বলে ডুমিনি রানআউট হয়ে গেলেন। শেষ বলে জয়ের জন্য দুই রান চাই, এক রান করলে ম্যাচ যাবে সুপার ওভারে। উদানার করা বলটা গেল লঙ্কান উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলার হাতে। ততক্ষণে দৌড় শুরু করেছেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ইমরান তাহির ও ডেল স্টেইন। কিন্তু মাত্র দুই মিটার দূর থেকে ডিকওয়েলা উইকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলে এক রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবার রাতে এমন নাটকীয় ম্যাচে সুপার ওভারে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় আফ্রিকানরাই।
সুপার ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার তৃতীয় বলে ছক্কা ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। সেই ওভারে আসে মোট ১৪ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে স্পিনার ইমরান তাহিরের করা সুপার ওভার থেকে শ্রীলঙ্কা মাত্র পাঁচ রান নিতে সমর্থ হয়। ৯ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান। প্রোটিয়াদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে হাত খুলে খেলতে পারেননি কোনো লঙ্কান ব্যাটসম্যান। চার নম্বরে নামা কামিন্দু মেন্ডিস ২৯ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট।
জবাবে প্রোটিয়াদের শুরুটাও হয় মন্থর। ৯.৩ ওভারে দলীয় ৫২ রানের মধ্যে ফিরে যান রিজা হ্যানড্রিকস, কুইন্টন ডি কক ও ফাফ ডু প্লেসি। এরপর র্যাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ৩০ বলে ৩৪ ও ডেভিড মিলারের ২৩ বলে ৪১ রানে জয়ের কক্ষপথেই ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু শেষদিকে টপাটপ কয়েকটি উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মিডলঅর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং ও সুপার ওভারে চার-ছয় হাঁকানো ডেভিড মিলার ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।