আইপিএলের প্রতি ম্যাচে কত টাকার বাজি হয়, জানেন?

Looks like you've blocked notifications!

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বাদশ আসর। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটি এখন বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট। প্রতিবছর বাড়ছে টুর্নামেন্টের প্রচার ও পসার। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে ম্যাচগুলোও হচ্ছে টানটান উত্তেজনার। আর এসবের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজিকরদের বাজির টাকার পরিমাণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে ধরা হচ্ছে বিপুল অঙ্কের  বাজি। সংখ্যাটা শুনলে যে কারো চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে।

ভারতে কোনো ক্রীড়া আসরের ম্যাচে জুয়া বা বাজি ধরা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু থেমে নেই জুয়াড়িরা। অপ্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে প্রতিদিনই ধরা হচ্ছে বিপুল অঙ্কের বাজি। তবে ইংল্যান্ডে বাজি ধরা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে রয়েছে অসংখ্য পেশাদার বুকি ও ব্যাপক সংখ্যক বাজি ধরার অনুমোদিত বিডিং হাউজ। সেখানকার একজন পেশাদার বাজিকর নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচে জুয়ার অঙ্কসম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।

অবিশ্বাস্য সেই বাজির টাকার পরিমাণ। ম্যাচপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড! বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পৌনে ৮০০ কোটি টাকা! আইপিএল চলাকালীন বাজিকরদের জন্য সবচেয়ে মোক্ষম দুটো মাস আখ্যা দিয়ে পেশাদার একটি বাজিকর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ওই বাজিকর বলেন, ‘এটা আমার মতো অনেকের জন্যই দুর্দান্ত একটা প্রতিযোগিতা। যেনতেন কেউ এখানে বাজি ধরতে পারে না। শুধু ধনাঢ্য ব্যক্তিরা বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে এই বাজিতে নামে।’

এ বছর প্রতি ম্যাচে বাজির টাকার অঙ্কটা ৮০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন সেই জুয়াড়ি। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত টাকার পরিমাণ শুধু ইংল্যান্ডে ধরা বাজির হিসাব। বিশ্বজুড়ে ধরা বাজির টাকা হিসেবে আনলে টাকার অঙ্কটা আরো কয়েকগুণ হবে। তিনি আরো জানান, ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্ট ও অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগকে ছাড়িয়ে আইপিএলই এখন সবচেয়ে বড় বাজির আসর। আর ভারতে বাজি ধরা নিষিদ্ধ হলেও, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভারতে অবস্থান করেও বাজিতে শামিল হচ্ছে অনেকেই।