ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে মরিনিয়ো
জোসে মরিনিয়োর এখন ভীষণ দুঃসময়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতবার চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার একটানা ব্যর্থতা চেলসিকে নামিয়ে দিয়েছে পয়েন্ট তালিকার ১৬তম স্থানে। মাঠের বাইরেও দিনকাল ভালো যাচ্ছে না চেলসির পর্তুগিজ কোচের। রেফারির সমালোচনা করায় বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হচ্ছে তাঁকে।
গত ৩ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগে সাউথহ্যাম্পটনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর মরিনিয়ো তীব্র সমালোচনা করেছিলেন রেফারির। একটা পেনাল্টি না দেওয়ায় রেফারি রবার্ট ম্যাডলিকে একেবারে ধুয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সে জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাঁকে। চেলসির ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচকে ৭৭ হাজার ডলার (৫০ হাজার পাউন্ড) জরিমানা করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। আগামী ১২ মাসের মধ্যে আবার এমন ‘অপরাধ’ করলে এক ম্যাচ ‘স্টেডিয়াম ব্যান’, অর্থাৎ চেলসির খেলা চলার সময় মাঠের ভেতরে থাকার অধিকার হারাবেন মরিনিয়ো।
শাস্তিটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মরিনিয়ো। বৃহস্পতিবার লন্ডনে নিজের বই ‘মরিনিয়ো’র প্রকাশনা উৎসবে তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রতিটি বাক্যই যেন আমার জন্য হুমকি। আমি অন্তত এ ব্যাপারে আনন্দিত যে আমার গায়ে কোনো ইলেকট্রনিক ট্যাগ লাগানো নেই। তবে মনে হয়, সেটা হতে খুব বেশি বাকিও নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা আমার জন্য চূড়ান্ত মর্যাদাহানিকর। স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনাও বিস্ময়কর ঘটনা।’
এবারের মৌসুমে চেলসির কাছে হারের পর রেফারির সমালোচনা করলেও আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের কোনো শাস্তি হয়নি। এই ‘বৈষম্যে’রও সমালোচনা করেছেন মরিনিয়ো, ‘রেফারিকে ভীতু বলায় আমাকে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে দুর্বল ও শিশুসুলভ বলা হলেও কারো কিছু যায়-আসে না।’
নিজের আঙিনায়ও মরিনিয়ো এখন স্বস্তিতে নেই। চেলসির বহু সমর্থক তাঁর বরখাস্তের দাবিতে সোচ্চার। লন্ডনের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা জানিয়েছে, চেলসির কয়েকজন খেলোয়াড় নাকি মরিনিয়োকে ঠাট্টা করে নতুন একটা নামে ডাকছেন!