ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার নেপালের অধিনায়ক
ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় চলছে নেপালের ফুটবল অঙ্গনে। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান পাঁচ ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করেছে নেপালের পুলিশ। এর মধ্যে আছেন নেপালের বর্তমান অধিনায়ক সাগর থাপাও।
চার বছর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচ পাতানো হয়েছিল বলে সন্দেহ করছে নেপালের পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় আছে জর্ডানের কাছে নেপালের ৯-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচটিও। নেপাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের প্রধান সরবেন্দ্র খানাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছি, যেগুলো করা হয়েছে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজিকরদের মাধ্যমে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে। খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’
বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ও প্রীতি ম্যাচ আছে নেপাল পুলিশের সন্দেহের তালিকায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছু ম্যাচও আছে। সব ম্যাচেই হেরেছিল নেপাল। কাঠমান্ডু পুলিশের প্রধান মুখপাত্র বিশ্ব রাজ পোখরেল জানিয়েছেন, কয়েকজন খেলোয়াড়ের ব্যাংক হিসাবে এক হাজার থেকে দেড় হাজার ডলার জমা হয়েছে।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে নেপালের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সব খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। আনফার প্রধান নির্বাহী ইন্দ্র মান তুলাধর বলেছেন, ‘গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা ভীষণ অবাক আর দুঃখিত। আমরা তদন্তের বিষয়ে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
গত বছর আনফার সাবেক সভাপতি গণেশ থাপার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘ ১৯ বছর নেপাল ফুটবলপ্রধানের দায়িত্ব পালনের সময় বিশাল অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছিল আশির দশকে ঢাকার লিগে খেলা গণেশ থাপাকে। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ফিফার নীতিনির্ধারক কমিটি।