মাঠে ফিরছেন মোহাম্মদ আসিফ?
২৩ টেস্টে ১০৬ উইকেট, ৩৮ ওয়ানডেতে ৪৬টি ও ১১টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৬৫টি আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার কোনো ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ারে খুব বেশি আহামরি অর্জন নয়। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডে ভোগ করেছেন সাত বছরের নিষেধাজ্ঞা। বয়সটাও ইতিমধ্যে ৩৬ ছাড়িয়ে গেছে। এমন সময়ে ক্রিকেট মাঠে কেউ ফিরতে চাইলে তা নিয়ে এত আলোচনা হতো না। তবে বোলারের নাম মোহাম্মদ আসিফ বলেই সেটা বড় সংবাদ হয়েছে।
আবার ক্রিকেট মাঠে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের ডানহাতি এই প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার। বোলিং অ্যাকশনে সামান্যতম পরিবর্তন না এনেও যেকোন কন্ডিশনে দুই দিকে বল সুইং করানোর বিরল ক্ষমতা ছিল আসিফের। সঙ্গে দুর্দান্ত লাইন আর লেংথ মিলিয়ে দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৎকালীন সবচেয়ে প্রতিভাবান পেসারের মর্যাদা পেয়ে যান। তবে দুর্দান্ত প্রতিভার সঙ্গে শৃঙ্খলার মেলবন্ধন হয়নি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে আরেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের সঙ্গে মারামারি, ২০০৬ সালে শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ স্টেরয়েড গ্রহণের মতো অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে যায় ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে। স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে নিষিদ্ধ হয়ে যান সাত বছরের জন্য। একই ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া মোহাম্মদ আমির ২০১৬ সালে এবং অতি সম্প্রতি পিএসএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন সালমান বাট। সালমান বাটের এই ফেরাটা উদ্বুদ্ধ করেছে আসিফকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, পিএসএলের আগামী আসরে খেলতে আগ্রহী তিনি।
পিএসএলের চতুর্থ আসর মাত্রই শেষ হলো। তাই আগামী আসরকে সামনে রেখে নিজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন আসিফ। সদ্য শেষ হওয়া আসরটা বেশ আগ্রহের সাথে দেখেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পর তাঁর দুই সঙ্গী মোহাম্মদ আমির এবং সালমান বাট পিএসএল খেলেছেন। এমনকি পাকিস্তান জাতীয় দলেও দাপটের সঙ্গে খেলছেন পেসার মোহাম্মদ আমির। সব মিলিয়ে আশাবাদী আসিফ বলেন, ‘আমি পিএসএলের আগামী মৌসুমে খেলার জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছি। নিজেকে ফিট রাখাটাই আপাতত মূল লক্ষ্য আমার। পিএসএলের পঞ্চম আসরটা খেলতে আশা রাখছি আমি।’