মানসিক প্রস্তুতিতে বেশি নজর দিচ্ছেন সৌম্য

ভালো শুরুর পরও মাঝপথে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সৌম্য সরকার। সেই সংকট কাটাতে আপাতত মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। একদিন আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে সবার মানসিক প্রস্তুতি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অধিনায়কের কথা মনে ধরেছে এই তরুণ ব্যাটসম্যানের। তাই আপাতত ২২ গজের প্রস্তুতির চেয়ে নিজের মানসিক প্রস্তুতিতে বেশি নজর দিচ্ছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েও ফিরতে পারছেন না সৌম্য। শেষ নিউজিল্যান্ড সফরও ভালো কাটেনি। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো শুরুর পরও ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে। ঢাকা লিগেও একই পরিস্থিতি। তিন ম্যাচে তার রান সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩, ৩৬ ও ৪৩।
পরিস্থিতি বদলানোর পরিকল্পনা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সৌম্য বলেন, ‘এখন ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে, যে ম্যাচগুলোতে খেলার সুযোগ পাব, চেষ্টা থাকবে লম্বা সময় ব্যাটিং করা। বল বেশি খেলি বা রান বেশি করি, মাঝখানে (উইকেটে) যে পরিস্থিতি থাকে, সেটি নিয়ে একটু বেশিক্ষণ চিন্তা না করে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা থাকবে। আর দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি এভাবে খেলতে থাকি, সেসব তাহলে আমার মধ্যে বেশি গড়ে উঠবে।’
তবে ডিপিএলের শেষ দুটি ম্যাচে রান কম করলেও উইকেটে লম্বা সময় টিকতে পেরেছেন সৌম্য। তার দাবি, সঠিক পথে আছেন তিনি। সৌম্যর কথায়, ‘উইকেটের মধ্যে থেকেই শেখার চেষ্টা করছি। হয়তো হচ্ছে না এখনো। তবে শিখছি। শেষ তিন ম্যাচেও দেখেছেন, যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি, আমার মনে হয় সেটি ভালো। হয়তো বড় রান হয়নি, সব ভালো বলে আউট হয়েছি। তবে পথটা ঠিক ছিল।’
মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেই ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে জায়গা পান সৌম্য। নবাগত ক্রিকেটার হয়েও জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খারাপ কাটেনি। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৮৫ রান। এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলে প্রায় নিশ্চিত তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ইঙ্গিত তেমনটাই। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত সৌম্য?
বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে সৌম্যর ভাষ্য, ‘আসলে গত বিশ্বকাপে একেবারেই নতুন ছিলাম। এবার যদি সুযোগ পাই অবশ্যই পরিকল্পনা ভালো কিছু করা। তবে এবারের পরিকল্পনা একটু ভিন্ন থাকবে। গত বিশ্বকাপে যেভাবে জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নির্ভার হয়ে খেলেছি, এখন হয়তো অতটা ভারমুক্ত থাকা যাবে না— একটু চাপ তো থাকবেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে, ওখানে গিয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে। আগে যে বিশ্বকাপ খেলেছি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছি, ওখানে যে সাহস নিয়ে খেলেছি সেটা ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে।’