ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশ দলের হয়ে অনেক বছর ধরে খেলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে চলে এসেছেন একই সঙ্গে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলা তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহও। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারদের বিদায়ের পর কারা পূরণ করবেন এদের শূন্যস্থান? জাতীয় দলের পাইপলাইন বলা হয় হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড বা এইচপি ইউনিটকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম এমন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের বাছাই করে পরিচর্যা করা হয় এইচপি ইউনিটে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই এইচপির বিভিন্ন কার্যক্রম চললেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট। 

এইচপি ইউনিটের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভাবিয়ে তুলেছে বিসিবি কর্তাদের। তাই এইচপি ইউনিটকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ শনিবার এইচপি ইউনিটের বৈঠক শেষে এমন কথা জানিয়েছেন বিশেষ এই ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়।

এইচপি ইউনিট নিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের এইচপির ইউনিটের প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে, আজকে সেটার প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে। আমরা কীভাবে কী করব, সময়সীমা, ভেন্যু, কোথায় এবং কবে ক্যাম্প হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

দুর্জয় আরো বলেন, ‘চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম করা ২৪-২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে নতুন করে শুরু হবে এইচপি প্রোগ্রাম। এর আগে এইচপি প্রোগ্রামে কোনো বয়সসীমা না থাকলেও, এবার অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হবে এই বিশেষ ইউনিট। আগামী ১৮ মে থেকে শুরু হবে এই প্রোগ্রাম।’

এইচপির ইউনিটের নতুন এ প্রোগ্রাম নিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘এবার আমরা এইচপিকে আলাদা করে পরিচালনা করব। এই বিশেষ ইউনিটের খেলোয়াড়দের নিয়মিত ম্যাচ খেলা প্রয়োজন পড়ে। তাই সংখ্যাটা ২৪-২৫ জনের মতো হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, একসঙ্গে যেন দুইটা টিম বিভক্ত হয়ে প্র্যাকটিস করা যায়।’ আগের মতো এবারও এইচপি দলের কোচের দায়িত্বে থাকবেন অসি কোচ সাইমন হেলমট।