সেঞ্চুরির আনন্দে ঢাকল জোড়া শূন্যের দুঃখ
আগের দুই ম্যাচে বিকেএসপি ও শাইনপুকুরের বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। তবে আজ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে এসে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দুঃখ ভুলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফজলে মাহমুদ রাব্বি। এমন ঘটনা রাব্বির ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ঢাকা লিগে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য খ্যাত ফজলে মাহমুদের। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দুটিতেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর জন্য। তবে প্রিমিয়ার লিগে এমন দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়নি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানে ফিরে যান অভিজ্ঞ ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। এরপর ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করতে নামেন ফজলে মাহমুদ। আরেক ওপেনার মিজানুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৩৫.৩ ওভারে ১৯৩ রান তোলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২০৩ রানে মিজানুর রহমানের আউটের পর আর কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা। আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় বরাবর ১০০ রান করেন মিজানুর।
তবে অন্যপ্রান্তে ফজলে মাহমুদ খেলতে থাকেন নিজের মতো। আগের দুই ম্যাচের হতাশা ঝাড়েন প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের উপর। একেবারে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ১৪৭ বলে ১৩টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ১৪৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন মাহমুদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা ইয়াসির আলী। চার নম্বরে নেমে মাত্র ৩৭ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডানহাতি ইয়াসির। দুজনের ব্যাটিং তান্ডবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দুই উইকেটে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
তবে হতাশার চক্র থেকে পুরোপুরি বের হতে পারেননি ফজলে মাহমুদ। বিশাল স্কোর গড়েও ম্যাচ হেরে গেছে তাঁর দল। দলের ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাহাড়সম এই স্কোর সাত বল বাকি থাকতেই টপকে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ইনফর্ম ওপেনার এনামুল হক করেন ৫৪ রান। ও্য়ানডাউনে নামা ভারতীয় অভিমন্যু ৯৬ বল খেলে করেন দ্রুতগতির ৯০ রান। চার নম্বরে নামা আল-আমিন ৪৭ বল খেলে করেন ৫২ রান। তবে প্রাইম ব্যাংককে স্মরণীয় জয় এনে দেওয়ার কৃতিত্ব অভিজ্ঞ অলক কাপালীর। পাঁচ নম্বরে নেমে মাত্র ৬৫ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রান করে দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার।