মেসি ফিরলেন এবং জয় করলেন
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটাও খেলেননি। লা লিগায় এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে শনিবার রাতে মাঠে নামলেন মেসি। ন্যু ক্যাম্পে তাঁর জাদুতেই এস্পানিওলের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। বার্সেলোনার হয়ে দুটি গোলই করেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সা। বল দখলে একচেটিয়া এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না কাতালানরা। ম্যাচের ২১তম মিনিটে ইভান রাকিতিচের কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ২৯ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বার্সা। ফ্রি-কিক থেকে মেসির শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন এস্পানিওলের গোলরক্ষক।
পুরো প্রথমার্ধটা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে কাতালানরা। তবুও গোল পেতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৭১তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফাউলের শিকার হন মেসি নিজেই। ফ্রি-কিক থেকে তাঁর বাঁকানো শট এস্পানিওলের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে জালে ঢুকে যায়। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
গোল পেয়েও আক্রমণ করা থেকে দমে যায়নি বার্সেলোনা। ফলাফলটাও পেয়ে যায় হাতেনাতে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার রাকিতিচের লম্বা করে বাড়ানো থ্রু বল মিডফিল্ডার ম্যালকমের পা হয়ে মেসির কাছে পৌঁছে। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে কাতালানদের ২-০ গোলে জয় নিশ্চিত করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। লা লিগায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৩১।
২৯ ম্যাচ শেষে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৪।