ছেলেকে নিয়ে বিপাকে জিদান

Looks like you've blocked notifications!

রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান স্কোয়াডে আটজন ডিফেন্ডার, নয়জন মিডফিল্ডার ও পাঁচজন স্ট্রাইকার আছেন। গোলবারের নিচে প্রতিপক্ষের আক্রমণ নস্যাৎ করার জন্য আছেন তিনজন গোলরক্ষক। তাঁদের একজন থিবো কোর্তোয়া বেলজিয়ামের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আলো ছড়িয়েছিলেন। বিশ্বকাপের পর চেলসি ছেড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টদের দলে যোগ দেন। অন্য আরেকজন কেইলর নাভাসও ফুটবল বিশ্বে আলোচিত এক গোলরক্ষকের নাম। কোস্টারিকার এ গোলরক্ষক ২০১৪ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন। 

তবে বিপত্তিটা বেধেছে দলের তৃতীয় গোলরক্ষককে নিয়ে। ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া লুকা জিনেদিন জিদান ফার্নান্দেজ রিয়ালের তৃতীয় গোলরক্ষকের নাম। যে বছর জন্ম নেন লুকা, সে বছরই ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেন তাঁর পিতা। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়াল মাদ্রিদ দলেরই কোচের দায়িত্বে আছেন বিখ্যাত ফুটবলার বাবা। হ্যাঁ, ফ্রান্সের কিংবদন্তি বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় ও রিয়ালের হয়ে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা কোচ জিনেদিন জিদানের সন্তান লুকা। আর সাম্প্রতিক বিতর্কটা সৃষ্টি হয়েছে এ কারণেই।

গত রোববার হুয়েস্কার বিপক্ষে রিয়ালের গোলবারের নিচে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যায় লুকা জিদানকে। স্প্যানিশ জায়ান্টদের শিবিরে কোর্তোয়া আর নাভাসের মতো গোলরক্ষক থাকতে মাত্র ২০ বছর বয়সী লুকাকে নামিয়ে দেওয়ার পর অনেকেই সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, কোচ জিদান বাবা হওয়ার কারণেই পক্ষপাত করে এত অল্প বয়সে লুকাকে মাঠে নামিয়েছেন। আর এ জন্য কোর্তোয়া আর নাভাসের মানের গোলরক্ষককে সাইডলাইনে বসে থাকতে হচ্ছে। সমালোচকরা আরো বলছেন, সামনের মৌসুমে অভিজ্ঞ দুই গোলরক্ষকের যেকোনো একজনকে বিক্রি করে দিতে চান জিদান। আর এসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ছেলেকে রিয়াল মাদ্রিদ দলে পাকাপোক্ত করে দেওয়া।

তবে এসব সমালোচনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন জিদান। ফুটবলবিষয়ক একটি সংবাদমাধ্যমকে ফরাসি কিংবদন্তি বলেন, ‘যোগ্যতা দিয়েই রিয়ালের মতো দলে জায়গা পেয়েছে লুকা। মাত্র ছয় বছর বয়সে রিয়ালের একাডেমিতে যোগ দিয়েছে সে। প্রায় ১৬ বছর ক্লাবটির সঙ্গে যুক্ত আছে। এরপরও যদি কেউ বলে, আমার ছেলে বলে ওকে সুযোগ দিয়েছি, তাহলে সেটা সম্পূর্ণ ভুল বলা হবে। আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগের কোনো গুরুত্ব নেই।’