রূপগঞ্জ-আবাহনী সমানে সমান
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এদিন জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেডও। দুই দলের জয়ে জমে উঠেছে চলমান লিগের পয়েন্ট টেবিল। সমান ম্যাচে, সমান জয়-পরাজয়ে শীর্ষস্থান দখলের জন্য লড়ছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সাভার বিকেএসপিতে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। মোহাম্মদ নাঈম ও মুমিনুল হকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২৮ বল হাতে রেখেই আট উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে রূপগঞ্জ।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে চার উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। জহুরুল -সাইফউদ্দিনের ব্যাটিংয়ে চার উইকেটে জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
নয় ম্যাচ খেলে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রূপগঞ্জ। নেট রান রেটে আর একটু আগালেই আবাহনীকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে যাওয়ার হাতছানি রূপগঞ্জের সামনে। অর্থাৎ সুপার রাউন্ডের আগে শীর্ষস্থান নিয়ে দুই দলের লড়াই চলছে সমানে সমান।
মিরপুরে এদিন সৌম্য সরকারের বোলিং ঝলকে ২২৪ রানের পুঁজি পায় প্রাইম দোলেশ্বর। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন ফরহাদ হোসাইন এবং সৈকত আলী। ২৩তম ওভারে সৈকত-ফরহাদ ফিরলে দোলেশ্বরের দায়িত্ব নেন তাইবুর রহমান। শেষের দিকে তার ব্যাটে চড়ে আবাহনীর সামনে ২২৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় দোলেশ্বর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ফরহাদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে তাইবুরের ব্যাট থেকে।
আবাহনীর হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সৌম্য। ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। মাশরাফির শিকার ৪৮ রানে দুই উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুটা বেশ বাজে হয় আবাহনীর। ২৩ রানেই তাই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন মিঠুন। ৬৩ রানের জুটির পর ৪৮ বলে ৪০ করে আউট হয়ে যান মিঠুন। সাব্বির রহমান ফেরেন ২০ বলে ২৪ রান করে, পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষের দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চার উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
অপরম্যাচে মুক্তার আলী ও নাবিল সামাদের দারুণ বোলিংয়ে ১৪২ রানেই অলআউট হয়ে যায় ধানমণ্ডি ক্লাব। সমান তিনটি করে উইকেট নেন সামাদ ও মুক্তার আলী।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৮ ওভারেই জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। দলের পক্ষে ৬৯ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাঈম। আর ইনিংস শেষে ৭১ বলে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক।