বৃথা যায়নি মেসির রক্ত
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের দুই বড় ক্লাব বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির দিকে নজর ছিল পুরো দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের। ওল্ড ট্রাফোর্ডে এর আগে কখনো জিততে না পারায় বার্সেলোনাকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে, এমনটাই ভেবেছিল ফুটবল দর্শকরা। হাই ভোল্টেজ ম্যাচটির একপর্যায়ে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হন বার্সা সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যানইউকে তাদের মাঠেই ১-০ গোলে হারিয়ে অধরা জয় পেয়েছে কাতালানরা।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। তবে ম্যাচে জয়সূচক গোলটি বার্সার কোনো খেলোয়াড় করেননি। ম্যানইউর ডিফেন্ডার লুক শর আত্মঘাতী গোলে জয় নিশ্চিত হয় কাতালানদের।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই পরিকল্পিত ফুটবল খেলতে থাকে বার্সেলোনা। তাদের গোছানো ফুটবলের সামনে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় কাতালানরা। ইউনাইটেডের ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে লুইস সুয়ারেজের উদ্দেসে মাপা ক্রস বাড়ান লিওনেল মেসি। ফাঁকায় থাকা সুয়ারেজ গোলমুখে হেড করেন। ম্যানইউর ডিফেন্ডার লুক শর গায়ে লেগে বল গোললাইন অতিক্রম করে। সাইডলাইন থেকে লাইনসম্যান প্রথমে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের নির্দেশ দেন রেফারি।
শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে কিছুটা মারমুখী হয়ে খেলতে থাকে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের ৩১ মিনিটে উড়ে আসা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা মেসিকে পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেন ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিং। পরক্ষণেই নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে মেসির। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবার মাঠে নেমে পড়েন বার্সা অধিনায়ক।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও গোছানো আক্রমণ করে বার্সেলোনাই। ম্যানইউর রক্ষণভাগে বারবার হানা দিলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত থাকে কাতালানরা। নাকে ব্যথা পাওয়ার পর এই অর্ধে মেসিকে কিছুটা নিষ্প্রভ মনে হয়। অন্যদিকে, ইউনাইটেড বারবার আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। তবে বার্সার গোলমুখে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের সব আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
আগামী মঙ্গলবার বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ।