বিশ্বকাপে চমক দেখাতে চান রাহি

Looks like you've blocked notifications!

এখনো বাংলাদেশের হয়ে একটি ওয়ানডেও খেলেননি। তথাপি সুযোগ পেয়ে গেছেন বিশ্বকাপের মতো আসরে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে তাই চমক বলা যায় তাঁর অন্তর্ভুক্তিকেই। মঙ্গলবার ঘোষিত স্কোয়াডে নিজের নাম দেখে অবাক হয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহিও। তবে বিশ্বকাপে একাদশে সুযোগ পেলে চমক দেখাতে চান সিলেট থেকে উঠে আসা এই পেসার।

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে সুযোগ পেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়টি একেবারেই লুকাননি আবু জায়েদ। মনের মধ্যে প্রাথমিক দলে সুযোগ পাওয়ার ইচ্ছাটা ছিল, তবে প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে একেবারে মূল দলে ঢুকে গেছেন ২৬ বছর বয়সী পেসার। বিস্মিত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘খবরটা প্রথম পেয়েছিলাম ১২টার দিকে। আপনাদের ফোনের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। অবশ্যই আমার জন্য ব্যাপারটা সারপ্রাইজিং ছিল। আশা করেছিলাম ২০ জনের স্কোয়াডে হয়তো থাকব। যখন শুনলাম ১৫ সদস্যের দলে আছি, তখন আরেকটু বেশি সারপ্রাইজ মনে হয়েছে।’

এবারের বিশ্বকাপ আসরটা ইংল্যান্ডে হওয়ায় ডানহাতি পেসারের জন্য একটু বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে দলে সুযোগ পাওয়ার খবরটা। অনেক দিন থেকেই সেখানে খেলার স্বপ্ন ছিল আবু জায়েদের। ইংলিশ কন্ডিশনে সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চান গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের অভিজ্ঞতাও। ‘ক্রিকেটের জনক’ খ্যাত দেশটিতে খেলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত জায়েদ বলেন, ‘সর্বশেষ ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। এরপর প্রায় ১০ বছর কেটে গেছে। তাই ইংল্যান্ডে খেলার ইচ্ছাটা ছিল অনেক বেশি। ওখানে নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতাও ভালো কাজে আসবে। কারণ নিউজিল্যান্ড দলের সেরা ব্যাটসম্যানরা বলেছিল, একটু কষ্ট করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আধিপত্য করতে পারব।’     

বিশ্বকাপে মূল একাদশে সুযোগ পেলে বল হাতে চমক দেখাতে চান আবু জায়েদ। ডানহাতি এই পেসারের বোলিংয়ে আসল শক্তিমত্তার জায়গা সুইং করানোর ক্ষমতা। ইংলিশ কন্ডিশনটা তাই তাঁর জন্য আশীর্বাদ হতে পারে জানিয়ে বলেন, ‘ওখানে বোলিং করা পেসারদের জন্য বলতে গেলে আদর্শ জায়গা। বল সেখানে সুইং করানো যায়। আর যেহেতু আমার মূল অস্ত্র সুইং, আমি তাই খুব আশাবাদী।  আর বল সুইং করানোর জন্যই মূলত আমাকে নেওয়া হয়েছে। মাশরাফি ভাইও এমনটাই বলেছেন। সুযোগ পেলে ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করব। আমি আশাবাদী, এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

বিশ্বকাপের এবারের আসরটা হবে ‘রাউন্ড রবিন লিগ’ পদ্ধতিতে। অংশগ্রহণকারী সবকটি দলের বিপক্ষেই খেলবে বাংলাদেশ।  তবে বিশেষ প্রতিপক্ষ হিসেবে দুটি দলকে চিহ্নিত করেছেন আবু জায়েদ। এবারের আসরে টাইগারদের বিশেষ প্রতিপক্ষের নাম বলতে গিয়ে এই পেসার বলেন ‘স্বাভাবিকভাবে ইংল্যান্ড এবং ভারত এই দুটি দল। প্রথমে ইংল্যান্ড দলকে বলব, যেহেতু তারা স্বাগতিক দল। এর পরে আছে ভারত।’