আইপিএলে হাবিবুল বাশার!
ভারতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য হাবিবুল বাশারের। সর্বশেষ ২০০৮-০৯ মৌসুমে বিতর্কিত ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। বিতর্কিত সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ঢাকা ওয়ারিয়রস দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাশার। নতুন করে এবার বহুল জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) যাচ্ছেন তিনি। তবে অবশ্যই খেলোয়াড় হিসেবে নয়, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের হয়ে আইপিএলের ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এর আগে কখনোই ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি হাবিবুল বাশারের। এমনকি বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত কোনো ক্রিকেট ম্যাচেও কখনো ধারাভাষ্য কক্ষে দেখা যায়নি বাশারকে। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সরাসরি ভিন্ন আরেকটি দেশে ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় কাজটা কঠিন হবে না বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
জানা গেছে, ভারতীয় স্টার টিভির জলসা মুভিজ চ্যানেলের হয়ে ধারাভাষ্য দিতে ১৯ এপ্রিল ঢাকা ত্যাগ করবেন হাবিবুল বাশার। চ্যানেলটিতে বাংলায় আইপিএল ম্যাচগুলোর সরাসরি ধারাভাষ্য দেবেন তিনি। সাত দিনের জন্য ভারতে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। আইপিএলের এবারের আসরে একই চ্যানেলের হয়ে ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজে যুক্ত আছেন সাবেক ক্রিকেটার ও খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানও।
প্রথমবারের মতো হলেও আইপিএল ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হাবিবুল বাশার। নতুন অভিজ্ঞতা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মনে করি, খুব একটা সমস্যা হবে না। আমার ক্রিকেট খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। আর ক্রিকেট নিয়েই তো কথা বলব, তাই না?’
উল্লেখ্য, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হাবিবুল বাশার দেশের হয়ে ৫০টি টেস্ট ও ১১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্টে ৩,০২৬ ও ওয়ানডেতে ২,১৬৮ রান করেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ভারতকে ছিটকে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় বাংলাদেশ দল। বাশারের হাত ধরেই ধীরে ধীরে শক্তিশালী ক্রিকেট দল হিসেবে আবির্ভাবের পথে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের।