আবাহনীর কাছে রূপগঞ্জের হার

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তিনটি ম্যাচ হয়েছে আজ। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শীর্ষে থাকা দুই দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও আবাহনী লিমিটেডের ম্যাচটা। সুপার সিক্সের এই ম্যাচটাকে বলা হচ্ছিল শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। আজকের ম্যাচে জিতলে এ মৌসুমের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত রূপগঞ্জের। কিন্তু এদিন তা পারেনি তারা। এই মহারণে জয় পেয়ে শিরোপা লড়াই জমিয়ে তুলেছে আবাহনী।

আজ রোববার সাভারের বিকেএসপি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রূপগঞ্জকে ১০২ রানে হারিয়েছে আবাহনী। এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে রূপগঞ্জের সমান ২৪ পয়েন্ট পেলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে আবাহনী। আগামী পরশু লিগের শেষ ম্যাচে আবাহনী মোকাবিলা করবে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। অন্যদিকে রূপগঞ্জ খেলবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে। এবারের লিগে দুটি দলের সর্বশেষ এই ম্যাচ দুটির ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে শিরোপা যাবে কার ঘরে।

বিকেএসপিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলকে স্বপ্নের মতো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং জহুরুল ইসলাম। মাত্র ২৪.২ ওভারে ১৬৯ রান তোলা আবাহনীর উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয় সৌম্য আউট হলে। তবে আউট হওয়ার আগে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান অফফর্মে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তুমুল সমালোচনার মধ্যে ৭৯ বলে ১০৬ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই তারকা। আরেক ওপেনার জহুরুল আউট হন ৭৫ রান করে।

এরপর ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফর (৪৬) ও সাব্বির রহমান (৩৩) বলের চেয়ে দ্রুত ইনিংস খেলে আবাহনীর সংগ্রহ বাড়িয়ে দেন। তবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আবাহনীর ৩৭৭ রানের পাহাড়সম ইনিংসের কৃতিত্বটা জাতীয় দলের আরেক তারকা মোহাম্মদ মিঠুনের। মাত্র ৩৪ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন মিঠুন। রূপগঞ্জের পেসার মোহাম্মদ শহীদ নয় ওভার বল করে ৬২ রানে দুই উইকেট নিলেও, ব্যয়বহুল বোলিংয়ে দুই উইকেট নেওয়া আরেক বোলার তাসকিন আহমেদ পাঁচ ওভার বল করে ৫৭ রান দেন।

পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে রূপগঞ্জ। দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন টপঅর্ডারের পাঁচজন ব্যাটসম্যান। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম একপ্রান্ত আগলে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি খেলেন ১২৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। তবে অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৭৫ রানে থামে রূপগঞ্জের ইনিংস। আবাহনীর হয়ে বল হাতে জাদু দেখান মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ ৬৫ রানে তিনটি এবং মাশরাফি ২০ রানে দুটি  উইকেট নেন।