অবিশ্বাস্য মেসি, অনবদ্য বার্সেলোনা

Looks like you've blocked notifications!

ম্যাচের আগেই সতর্ক করেছিলেন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। জানতেন বার্সেলোনার মাঠ থেকে জয় পাওয়া সহজ হবে না। তাই ড্র মেনে নিতেও প্রস্তুত ছিলেন এই জার্মান কোচ। তবে ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই মাঠে দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র।  একের পর এক আক্রমণ করে বার্সার রক্ষণভাগকে তটস্থ করে তুলে লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। তবে কাজের কাজটা ঠিক সময়ে করে ম্যাচ জিতে নেয় সেই বার্সাই। বুধবার রাতে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিইয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।  জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি, অন্য গোলটি করেছেন লুইস সুয়ারেজ। 

বুধবার রাতে বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে উত্তেজনার পারদে ঠাসা ম্যাচটা শুরু থেকেই জমে উঠে। ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে স্বাগতিকরাই। তবে গতিময় ফুটবল দিয়ে দ্রুতই কাতালান শিবিরকে প্রবল চাপে ফেলে দেয় লিভারপুল। বিপজ্জনক ভঙ্গিতে বারবার বার্সেলোনার রক্ষণভাগে ভীতি ছড়াচ্ছিলেন মোহাম্মেদ সালাহ এবং সাদিও মানে। কিন্তু গোলমুখের আশপাশে এসে খেই হারাচ্ছিল তাদের সব আক্রমণ।

অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। লিভারপুলের বিপদসীমানায় জর্ডি অ্যালবার ক্রসে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় জালে পাঠান এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধে আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্নেস্তো ভেলভার্দের দল। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্সেলোনার উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে লিভারপুল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে জেমস মিলনারের বুলেটগতির বাঁকানো শট কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বার্সার গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর সালাহর আরেকটি দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দলকে বাঁচান গোলরক্ষক স্টেগান। তবে আক্রমণের ধারায় খেলতে থাকা লিভারপুলের জন্য বড় ধরনের হতাশা নেমে আসে ৭৫ মিনিটে। লুইস সুয়ারেজের শট লিভারপুলের গোলপোস্টে লেগে ফেরত আসলে ফিরতি বলে গোল করেন লিওনেল মেসি। অতিথিদের হতাশায় ডুবিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা। 

ম্যাচের ৮২ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে গোল করে স্কোর লাইন ৩-০ করেন মেসি। তাঁর ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিক লিভারপুলের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে মূল্যবান একটি গোল পেতে পারতো লিভারপুল। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বার্সেলোনার গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন রাকিটিচ। ফিরতি বলে সালাহর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের বড় জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। 

আগামী ৭ মে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় লেগে আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।