লিভারপুলের রূপকথায় মলিন বার্সেলোনা

Looks like you've blocked notifications!
মেসি-সুয়ারেজদের গুঁড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে লিভারপুল। ছবি : সংগৃহীত

অবিশ্বাস্য জয়ে ইতিহাস গড়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল লিভারপুল। প্রথম লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা অলরেডরা ফিরতি লেগে সালাহ, ফিরমিনোকে ছাড়াই কাতালানদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলে। লিভারপুলের জয়ের নায়ক অরিগি ও উইনালডাম।

অবিশ্বাস্য হলেও ইতিহাস এই যে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের লড়াইয়ে প্রথম লেগ ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়া কোনো দল ফাইনাল খেলবে। সেই দলটা লিভারপুল। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে ডেকে যারা মেসি-সুয়ারেজদের দুমড়েমুচড়ে দিয়ে রূপকথা লিখেছে।

সেই রূপকথায় ঠাঁই হয়নি মোহাম্মদ সালাহ, ফিরমিনোর। ইনজুরিতে দুজনই বাইরে ছিলেন।

অন্তত চার গোলের অনিবার্য জয়ের টার্গেট যেখানে, সেখানে একা সাদিও মানে কী করবেন? কিন্তু রেডদের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন এদিন ডিভোক অরিগি। তাঁর করা সাত মিনিটের গোল চাঙ্গা করে দেয় লিভারপুলকে।

অতিরক্ষণাত্মক হতে গিয়ে না ডিফেন্স, না আক্রমণ কোনো কিছুই হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। আত্মবিশ্বাসও কাল হয়েছে।  মধ্যবিরতির সময় উইনালডামকে বার্সেলোনার কি ফোকরটা ধরিয়ে দিলেন, তিনিই বলতে পারবেন। তবে তাঁর টোটকাটা কাজে দিয়েছে। রবার্টসনের বদলে নেমে ১১ মিনিটের মধ্যে বার্সার পোস্ট রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছেন উইনালডাম।

ডাচ মিল্ডারের জোড়া গোলে লিভারপুলের সমতা মেলে। বার্সেলোনা তখনো ভাবছে  একটা গোল হলেই তো হয়। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজকে যে খুঁজে পাওটাও দায়।

সেই গোল অবশ্য হলো। কিন্তু করলেন অরিগি। কর্নার পেয়েছিল লিভারপুল। বার্সা তখন প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি, আরনল্ড সেই অপ্রস্তুতের সুযোগ নিয়ে করে দেন কর্নার, আর কাজের কাজটা অরিগি করে ফেলেন। স্টপেজ টাইম মিলিয়ে এরপরও ১৬ মিনিট হাতে পেয়েছিল বার্সা। গোল করতে পারলেই অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে চলে যাতে পারত ফাইনাল। তাহলে তো আবার ইতিহাস লিভারপুলের পক্ষে লেখা হতো না। এ নিয়ে ছয় মৌসুমে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচ হারল বার্সা। আর লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন দুয়ার খুলল। গতবার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল তারা।